1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটারকে কড়া চিঠি রাহুল গান্ধীর

২৭ জানুয়ারি ২০২২

'গণতন্ত্র ধ্বংসে'র শরিক হবেন না, টুইটারকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

https://p.dw.com/p/46960
রাহুল গান্ধী
ছবি: Naveen Sharma/ZUMAPRESS.com/picture alliance

গত অগাস্ট মাসে কোনো কারণ না দেখিয়ে টুইটার তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশের বর্তমান শাসকদের চাপেই টুইটার এ কাজ করেছিল বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তথ্য দিয়ে রাহুল দেখিয়েছেন, কীভাবে তার ফলোয়ার কমানোর জন্যই টুইটার একাজ করেছিল। শুধু তাই নয়, তার দাবি, টুইটারকে একাজ করতে বাধ্য করেছিল ভারতের বর্তমান শাসকদল। এবিষয়েও তার কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছেন রাহুল।

রাহুল তার চিঠিতে তিনজন ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্টের নমুনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। রাহুলের বক্তব্য, ২০২১ সালের গোড়া থেকে তার টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বাড়ছিল। গড়ে দুই লাখ করে তার ফলোয়ার বাড়ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। এরমধ্যে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুইট করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে কৃষক আন্দোলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও ছিল। রাহুলের অভিযোগ, গত অগাস্টে তার ফলোয়ার অমিত শাহের চেয়েও বেড়ে যায়। আর তারপরেই অগাস্টে কিছুদিনের জন্য তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।

রাহুলের দাবি, যে কারণে তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানানো হয়, সেই একই ছবি এবং বিষয় অন্যরাও টুইট করেছিলেন। কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি। এরপর তার অ্যাকাউন্ট চালু হলেও দেখা যায় ফলোয়ার আর আগের মতো বাড়ছে না।

রাহুল দাবি করেছেন, টুইটার ইন্ডিয়ার কিছু কর্মী তার হাতে নির্দিষ্ট তথ্য তুলে দিয়েছেন নাম প্রকাশ করা যাবে না, এই শর্তে। সেখানে বলা হয়েছে, রাহুলের টুইট বন্ধ করার জন্য দেশের সরকার টুইটার ইন্ডিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।

গত ২৭ ডিসেম্বর রাহুল এই চিঠি লিখেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে চিঠিটি সংবাদপত্রের হাতে এসেছে বৃহস্পতিবার। রাহুলের এই চিঠি নিয়ে দেশের রাজনৈতিকমহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সত্যিই টুইটার রাজনৈতিক চাপের মুখে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছিল কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর রাহুল লিখেছেন, দেশ ভাঙার খেলায় যারা নেমেছে, টুইটার যেন তাদের হাতের বোড়েতে পরিণত না হয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)