টিআইবিকে সুপ্রিমকোর্টের দ্বিতীয় দফা চিঠি
৩ জানুয়ারি ২০১১টিআইবি'র ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বিচার বিভাগকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত চিহ্নিত করে তাঁরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন - তা যথার্থ৷
সোমবার সুপ্রিমকোর্টের পাঠান দ্বিতীয় চিঠিতে টিআইবি'কে আরো বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে বলা হয়েছে৷ ডেপুটি রেজিষ্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, টিআইবি ইতিমধ্যেই যে তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়েছে, তা জরিপটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় না৷ তাই জরিপের প্রশ্ন এবং উত্তরমালা পাঠাতে বলা হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য৷ টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দ্বিতীয় চিঠি পাবার কথা জানান ডয়চে ভেলে'কে৷ তিনি বলেন জরিপের প্রশ্ন এবং উত্তর যত দ্রুত সম্ভব তারা সুপ্রিমকোর্টে পাঠিয়ে দেবেন৷
টিআইবি'র গত ২৩শে ডিসেম্বর প্রকাশিত খানা জরিপে সেবাখাতের মধ্যে বিচার বিভাগকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ তারা দেশের সব কটি জেলার ৬ হাজার খানার ওপর ওই জরিপ চালায়৷ গত ২৬শে ডিসেম্বর প্রথম সুপ্রিমকোর্ট ওই জরিপের তথ্য উপাত্ত চেয়ে টিআইবি'কে চিঠি দেয়৷ তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার জন্য সুপ্রিমকোর্ট ৩০শে ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটি ইতিমধ্যেই তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শুরু করছে৷
টিআইবি'র ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন খান ডয়চে ভেলে'কে জানান, তাঁরা এক দফা তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন৷ সুপ্রিমকোর্টের চাহিদামত আরো তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করা হবে৷ তিনি তাদের জরিপ যথাযথ এবং সঠিক বলে জানান৷
অন্যদিকে, এই রিপোর্ট প্রকাশের পরদিন চট্টগ্রাম এবং খুলনার আদালতে মামলা হলে টিআইবি'র ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন খান ও নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আদালত৷ তবে কুমিল্লার মামলাটি আদালত ইতিমধ্যেই বাতিল করছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী