‘টপ কিল’ তেল নির্গমন রোধে ব্যর্থ হল
৩০ মে ২০১০সময় যতোই লাগুক, ইতিমধ্যেই যখন দু'কোটি গ্যালন কাঁচাতেল সাগরের জলে গিয়ে পড়েছে, এবং আরো বড় কথা, কোনোভাবে তেলের লীকটা বন্ধ করা না সম্ভব হলে যখন এ'ভাবে তেল বেরনো আগামী আট বছর ধরেও চলতে পারে - এই পরিস্থিতিতে লুইজিয়ানার মানুষদের, হয়তো কিউবার মানুষদের এবং কে জানে কোথাকার মানুষদের খড়কুটো আঁকড়ে না থেকে কোনো উপায় নেই, তা তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো যতোই যুগপৎ ক্রুদ্ধ এবং হতাশ হোক না কেন৷
‘টপ কিল'-এর কাজ চলে তিন দিন ধরে৷ ইঞ্জিনীয়াররা প্রায় ৩০,০০০ ব্যারেল ভারী ড্রিলিং ফ্লুইড সমুদ্রগর্ভে তেলের কূপের উৎসমুখটিতে পাম্প করেছেন উচ্চচাপে৷ কিন্তু তা'তেও তেলের প্রবাহ বন্ধ করা যায়নি৷ কাজেই পরবর্তী পর্যায়ে, অর্থাৎ সিমেন্ট দিয়ে উৎসমুখটিকে সীল করার পর্যায়ে যাওয়াই যায়নি৷ বিপি এখন বিকল্প দেখছে - বলেছেন বিপি'র চীফ অপারেশনস অফিসার ডাগ সাটলস৷
মজার কথা, কেন ‘টপ কিল' ব্যর্থ হল, সাটলস স্বয়ং তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি৷ অথচ বিপি ইতিপূর্বে বলেছিল যে, একটি কি একাধিক বিকল্প কূপ খোঁড়া ছাড়া এই ‘টপ কিল'-ই হল তেলের প্রবাহ বন্ধ করার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ অবশ্য সেই বিকল্প তেলের কূপ খোঁড়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ তবে তা সম্পন্ন হতে আরো দু'মাস লেগে যাবে৷ তবুও হয়তো সেটাই শেষমেষ একমাত্র পন্থা হয়ে দাঁড়াবে৷
নতুন যে পরিকল্পনাটির কাজ নতুন সপ্তাহে শুরু হতে চলেছে, তার উপজীব্য হল: প্রথমে রোবোটদের হাতে কাটিং টুলস দিয়ে সমুদ্রবক্ষে পড়ে থাকা ছিন্নবিচ্ছিন্ন রাইজার পাইপগুলিকে কেটে সরানো৷ তারপর একটি ‘‘লোয়ার মেরিন রাইজার প্যাকেজ ক্যাপ'' বা এলএমআরপি ক্যাপ দিয়ে লীকটিকে ঢেকে সেখান থেকে সাইফন করে ওপরে ভাসমান জাহাজে তেল তোলা৷ তবে এই প্রক্রিয়াতেও নাকি তেলের অধিকাংশ সংগ্রহ করা যাবে, পুরোটা নয় - বলেছেন সাটলস৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক