ঝুলে যাওয়া বিখ্যাত কিছু সিনেমা
পৃথিবীতে এমন কিছু সিনেমা রয়েছে, যেগুলো মুক্তির আগে খুব আলোড়ন তুললেও শেষ পর্যন্ত আর দর্শকের সামনে আসেনি৷ ছবিঘরে থাকছে সেরকম কিছু সিনেমার কথা ও তাদের অপ্রকাশিত রয়ে যাওয়ার কারণ৷
কুবরিক পরিচালিত নেপোলিয়ন
স্ট্যানলি কুবরিকের মতো বিখ্যাত পরিচালক নেপোলিয়ন বোনাপার্তের জীবনের ওপর সিনেমা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ বিশাল নির্মাণ ব্যয়ের এ সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও কস্টিউম তৈরি হওয়ার পরও চলচ্চিত্রায়ন হয়নি, কেননা, আরেক বিখ্যাত পরিচালক সের্গেই বন্দারচুকের যুদ্ধের ওপর নির্মিত ‘ওয়াটারলু’ মেগা সিনেমাটি ফ্লপ হওয়ায় প্রযোজকরা শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগে পিছিয়ে যান৷
আইজেনস্টাইনের ‘আউট অফ লাভ’
হলিউডে ১৯৩০ সালে আইজেনস্টাইন এই সিনেমাটি করার উদ্যোগ নেন ‘কিউই ভিভা মেক্সিকো’ নামে৷ পরে মেক্সিকোর ইতিহাসের উপর তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র উদ্যোগটিও ব্যর্থ হয়৷ পরে এর জন্য শুট করা নানা দৃশ্য বিভিন্ন ডকুমেন্টরিতে ব্যবহার করা হয়৷
অসম্পূর্ণ সিনেমার রাজা ওরসন ওয়েলস
ওরসন ওয়েলসকে চলচ্চিত্র অসম্পূর্ণ রাখার ক্ষেত্রে দিকপাল বলা হয়৷ তাঁর অনেক সিনেমাই শেষ পযর্ন্ত আর সিনেমা হলে যায়নি, বা শুট করা শেষই হয়নি৷ এমন একটি বিখ্যাত সিনেমা হচ্ছে ‘দ্য আদার সাইড অব দ্য উইন্ড’৷ ওয়েলস ১৯৮০ সালে এই সিনেমা শুট শুরু করেন এবং ছবি শেষের আগেই তিনি মারা যান৷ তবে নেটফ্লিক্স সিনেমাটি শেষ করে মুক্তি দিয়েছে৷
মেরিলিন মনরোর শেষ...
১৯৬২ সালে ‘সামথিং গট টু গিভ’ চলচ্চিত্রের কাজ চলাকালীন হঠাৎ মৃত্যু হয় মেরিলিন মনরোর৷ সেটে প্রায়ই অনিয়মিত হতে শুরু করেছিলেন মেরিলিন৷ পরে কাজ শুরু করলেও কিছুদিন পরই আত্মহত্যা করেন৷
রং নিয়ে পরীক্ষার সিনেমা ‘হেল’
বিখ্যাত জার্মান অভিনেত্রী রোমি স্নাইডার অভিনীত অঁরি জর্জো ক্লুজো পরিচালিত ‘এল’এনফেঁ’ (নরক) সিনেমাটি শুটিংয়ের সময় একটি নারকীয় দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়৷ এরমধ্যেই পরিচালক ক্লুজোঁর হয় হার্ট অ্যাটাক৷ পরে অবশ্য পরিচালক ক্লুজোঁ এই সিনেমার জন্য শুট করা রঙ বিষয়ক রোমি স্নাইডার অভিনীত কিছু দৃশ্য তাঁর সিনেমায় ব্যবহার করেন৷ ২০০৯ সালে ‘হেল’ (নরক) সিনেমাটি কেন মুক্তি পায়নি, সে বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পায়৷
কান্নারত ভাঁড়: জেরি লুইস
পরিচালক জেরি লুইসের ‘দ্য ডে দ্য ক্লাউন ক্রাইড’ সিনেমাটি সম্ভবত চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় সিনেমার প্রকল্প৷ নাৎসি জার্মানির একটি গল্প হাস্যরসাত্নকভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এই সিনেমা তৈরি হলেও এটি কখনোই প্রদর্শন করা হয়নি৷ ১৯৭২ সালে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটির অভিনেতাও ছিলেন জেরি লুইস৷ আইনগত জটিলতা আর সিনেমা নিয়ে জেরির সন্তুষ্ট না হওয়াই এটি প্রদর্শন না করার মূল কারণ৷