1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝরে গেল সতেরটি মেয়ের প্রাণ

২৩ মে ২০১৬

ঘটনার সময় ঘুমাচ্ছিল অধিকাংশ মেয়ে৷ কারো বয়স পাঁচ কারো তের৷ আগুনে পুড়ে যায় এমন বয়সের অন্তত সতেরটি তাজা প্রাণ৷ বাকিরা জীবন বাঁচিয়েছে বহু কষ্টে৷

https://p.dw.com/p/1IsrL
ছবি: picture-alliance/dpa

বলছি থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের একটি স্কুল ডরমেটরি বা ছাত্রীনিবাসের কথা৷ খ্রিষ্টান দাতব্য সংস্থার অর্থায়নে চালিত কাঠের তৈরি দোতলা ডরমেটরিতে আগুন লাগে রবিবার রাতে৷ এরপর তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে৷ চিয়াং রাই-এর পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল প্রয়াদ সিং এই বিষয়ে বলেন, ‘‘রবিবার রাত এগারোটার দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ এতে ১৭ মেয়ে মারা হয়, আহত আরো পাঁচজন৷''

আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর, জানান তিনি৷ পাশাপাশি দু'জন নিখোঁজ থাকার প্রাথমিক খবরটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ ছাত্রীনিবাসটিতে পাঁচ থেকে তের বছর বয়সি মেয়েরা থাকতো৷ স্থানীয় টেলিভিশনে এক মেয়ের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে, যে আরো কয়েকজন বন্ধুসহ আগুন থেকে রক্ষা পেতে সক্ষম হয়৷ সে জানায়, ‘‘আমি ঘুম থেকে উঠে অনেক ধোঁয়া দেখতে পাই৷ পরিবেশটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল এবং নীচের তলায় আগুন লেগেছে বলে মনে হয়েছে৷ তখন আমি আমার বন্ধুদের ফোন করি৷''

ছাত্রীনিবাসটিতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ৩৮ শিক্ষার্থী ছিল৷ যারা তখন ঘুমাচ্ছিল না, তারা সহজেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হয় বলে স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু ঘুমিয়ে যারা ছিল, তাদের অধিকাংশই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায়৷''

স্কুলটির ফেসবুক পাতায় অগ্নিকাণ্ডের সময়ের কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে দেখা গেছে, আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে৷ কাঠের বাড়ি হওয়ায় আগুন দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল৷

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার মান বেশ দুর্বল৷ দেশটিতে এ ধরনের দুর্ঘটনা মাঝেমাঝেই ঘটে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য