জীবনযুদ্ধে জয়ী প্রি-ম্যাচিওর বেবির গল্প
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জন্ম, ওজন মাত্র ২৪৫ গ্রাম৷ এখন ওর ওজন ২,৫০০ গ্রাম, কয়েক মাস হাসপাতালে থাকার পর ছোট্ট স্যাবি বাড়ি যাবার অনুমতি পেয়েছে৷ যদিও ওর জন্মের পর কেউ ভাবেনি যে শিশুটি একদিনও বেচে থাকবে৷
বেবির ওজন মাত্র ২৪৫ গ্রাম
গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণে সান ডিয়েগোর শার্প মেরি বার্চ হাসপাতালে জরুরী সি-সেকশনে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্যাবির জন্ম হয়৷ তখন ওজন ছিলো ২৪৫ গ্রাম বা এক কাপ দইয়ের সমান৷ আকার ছিলো একটি আপেলের মত৷ স্যাবি যে সত্যিই বাড়ি যেতে পারবে সেকথা তখন কেউ ভাবেনি৷
প্রি -ম্যাচিওর বেবির প্রয়োজন বিশেষ যত্ন আর ভালোবাসা
একটি স্বাভাবিক শিশু মাতৃগর্ভে থাকে ৪০ সপ্তাহ সময় আর স্যাবিকে পৃথিবীর আলো দেখতে হয় ২৩ সপ্তাহ পরে৷ তবে এসব প্রি- ম্যাচিওর বেবির স্বাভাবিক ওজন হওয়ার জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত ভালোবাসা, যত্ন আর ধৈর্য৷ আরস স্যাবি তা পেয়েছে ভালোভাবেই৷
স্যাবির মায়ের অনুভূতি
‘‘স্যাবির জন্মের পর ডাক্তার আমার স্বামীকে বলেছিলো, আপনারা হয়তো একঘন্টা সময় ওর সাথে কাটাতে পারবেন, তারপরই স্যাবি মারা যাবে৷ আর দেখুন, এখন সে বাড়ি এসেছে৷’’
গিনেস বুকে স্যাবি
স্যাবিকে সর্বকালের সবচেয়ে ছোট বেচে থাকা বেবি বলে মনে করা হয়৷ এর আগে ২০০৪ সালে অ্যামেরিকার শিকাগোতে ২৬০ গ্রাম ওজনের জন্ম নেয়া এক শিশু এই রেকর্ডের অধিকারী৷আর এবার সেখানে স্যাবির নাম উঠলো৷
প্রি-ম্যাচিওর বেবি হওয়ার কারণ
বলা হয়ে থাকে গর্ভবতী অবস্থায় মদ্যপান, ধুমপান, শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে সাধারণত হয়ে থাকে৷ তাছাড়াও গর্ভবতীর কোনো সংক্রামক রোগ থেকেও জন্ম নিতে পারে প্রি-ম্যাচিওর শিশু৷