জীবনযাপন সহজ করেছে যেসব পণ্য
জীবনযাপনের শৃঙ্খলা অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ সেটা ঘরে হোক কিংবা বাইরে৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তাই ডিজাইনাররা মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন ডিজাইন শুরু করেন, যা ‘সিস্টেম ডিজাইন’ নামে পরিচিত৷ চলুন সেগুলো দেখা যাক৷
ছোট, তবে কাজের
১৯২১ সালে তৈরি এই সুইস নাইফ এখনো কার্যকর এক বস্তু হিসেবে টিকে আছে৷ এটি দিয়ে শুধু রুটি কাটা নয়, ওয়াইনের বোতলও খোলা যায়৷ আরো অনেক কাজে লাগে সুইস নাইফ৷ ‘সিস্টেম ডিজাইন’ হিসেবে কোলনের মিউজিয়াম অফ অ্যাপ্লাইড আর্টসে প্রদর্শিত হচ্ছে পণ্যটি৷ ১৫০টির মতো এ রকম পণ্য জায়গা পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷
শিল্প প্রক্রিয়া
ডিজাইনার মার্সেল ব্রাওয়ার ১৯২৫ সালে ছোট টেবিল তৈরি করেন৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন সাইজে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে৷ তবে এখনো বেশ জনপ্রিয় এগুলো৷
স্ট্যাইলিশ ব্যবস্থা
১৯৫৫ সালে সরানো যায় এমন টেবিল ও রেডিওসহ টেলিভিশন বাজারে আসা৷ এটা ঘরের যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় বসানোর সুযোগ আছে৷ এ ধরনের পণ্য মানুষকে ঘরের সাজগোজ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে৷
ক্লাসিক খেলনা
প্রত্যেক শিশুই এই খেলনার সঙ্গে পরিচিত৷ লেগো একটির সঙ্গে অন্যটি জুড়ে যে কোনো কিছু গড়া যায়৷ ১৯৫৮ সালে এই খেলনা গোটা বিশ্বের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়৷ এখনো সেই জনপ্রিয়তা রয়ে গেছে৷
ক্যাফেটেরিয়ার জন্য
ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে অনেক মানুষ খাওয়া-দাওয়া করেন৷ তাদের জন্য এই ডিশের সেটটি তৈরি করা হয়েছিল৷ সুবিধা হচ্ছে এগুলোর ডিজাইন প্রায় একইরকম এবং রাখার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না৷
ফার্নিচারের জন্য সুবিধাজনক জায়গা
গত শতকের ষাটের দশকে তৈরি এই ‘৬০৬’ সেল্ফ ফার্নিচারের জগতে অন্যতম সেরা আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত৷ পরিষ্কার শেপ, সোজা লাইন এবং অনমনীয় তাকগুলো সেল্ফটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে৷
অভিভাবক এবং বাচ্চাদের জন্য ডিজাইন
রঙিন এই প্লাস্টিকের চেয়ারগুলো তৈরি করেছেন ইটালির ডিজাইনার মার্কো জানুসো এবং তাঁর জার্মান সহকর্মী রিচার্ড সাপের৷ বাচ্চাদের এই চেয়ারগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া যায়৷ ফলে রাখা কিংবা পরিবহন দু’টোই বেশ সহজ৷
চারজনের জন্য
দেখের বলের মতো মনে হলেও এখানে চারজন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় থালা-বাসন এভাবে রাখা আছে৷ ভিলেরয় এবং বশ-এর তৈরি এই সেটটি কম জায়গায় বেশি জিনিস রাখার এ উৎকৃষ্ট উদাহরণ৷