1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি টোয়েন্টি নিয়ে ম্যার্কেলের সঙ্গে একমত হলেন ক্যামেরন

২২ মে ২০১০

ইউরোপীয় ঘাটতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷ শক্তিশালী , স্থিতিশীল অর্থনীতি যা খুবই জরুরি সেই স্বার্থে এবং আমাদের সবার দেশের স্বার্থেই আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/NUb5
ব্রিটশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে বার্লিনে স্বাগত জানান জার্মান চ্যন্সেলর ম্যার্কেলছবি: AP

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দায়িত্বভার নেবার পর প্রথম জার্মানি সফরে এসেছেন৷ বার্লিনে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন৷

বৈঠকের পর, দুই নেতা এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন৷ সেখানে ইউরোপীয়দের জন্যে ইউরোকে স্থিতিশীল করার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে দু'জনেই একমত প্রকাশ করেন৷ তাঁরা বলেন, এমনকি ব্রিটেনের মত যেসব দেশ ইউরোজোন ভুক্ত নয়, তাদের জন্যেও ইউরো এক গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রা৷

এদিকে ব্রিটেন যে ইউরোজোনে ঢুকবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ক্যামেরন৷ আর একটি ব্যাপার, আসন্ন জি টোয়েন্টি সম্মেলনে, বাণিজ্য বাজারকে নিয়ন্ত্রণের যে প্রস্তাব জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল রাখতে চলেছেন তাতে ব্রিটেনের পূর্ণ সমর্থন আছে বলেও জানান ক্যামেরন৷

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইউরোপে ব্রিটেনকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখতে চান৷ ক্যামেরন বলেন, ইউরোপীয় ঘাটতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷ শক্তিশালী , স্থিতিশীল অর্থনীতি যা খুবই জরুরি সেই স্বার্থে এবং আমাদের সবার দেশের স্বার্থেই আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷

ওদিকে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর, ম্যার্কেল বলেন, দুই দেশের প্রধান ইস্যুগুলোর মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে৷ একই সঙ্গে তিনি জার্মানি এবং ব্রিটেনের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন৷

তাঁদের বৈঠকে আর যে বিষয় উঠে এসেছে সেটি হচ্ছে তাঁরা আফগানিস্তান পরিস্থতি নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ সেখানে ব্রিটিশ এবং জার্মান সৈন্য রয়েছে৷ এছাড়া, ইরানের বিরুদ্ধে আবারও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও তাঁদের আলোচনায় স্থান পেয়েছে৷ দুই দেশের কোয়ালিশন সরকারের দুই প্রধান ক্যামেরন এবং ম্যার্কেল সাংবাদিকদের সামনে ঠাট্টা করে বলেন, এই ধরনের জোট গড়ে সরকার চালানোর গোপন বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা চালিয়েছেন তাঁরা৷ যদিও মনে রাখা দরকার, সেই হিসেবে ক্যামেরন সবেমাত্র জোটের নেতৃত্ব হাতে নিয়েছেন ব্রিটেনে৷ আর ম্যার্কেলের সেদিক থেকে অভিজ্ঞতা মন্দ নয়৷

তাহলে কী ক্যামেরন ম্যার্কেলের কাছ থেকে জোট চালানোর গোপন টিপস নিয়ে তবেই দেশে ফিরবেন?

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়