জার্মান সসেজ খাওয়ার সাত উপায়
আপনি ভালোবাসুন বা ঘৃণা করুন - জার্মানি সসেজের জন্য বিখ্যাত৷ এখানে থাকছে মাংস দিয়ে তৈরি এই খাদ্য খাওয়ার সাতটি উপায়৷
ব্রাটভ্যুর্স্ট
জার্মানিতে অনেকের পছন্দ এটি আর প্রত্যেক অঞ্চলের আবার ব্রাটভ্যুর্স্টের নিজস্ব সংস্করণ রয়েছে৷ আকার, গঠন আর মশলা গুড়া দিয়ে সাজানোর বিষয়গুলো বিবেচনায় আনলে ৫০ রকমের ব্রাটভুর্স্ট রয়েছে জার্মানিতে৷ যদিও জার্মানরা এখন ‘ব্রাট’ বলতে ‘ব্রাটেন’ মানে ভাজা বা পোড়ানো বোঝায়, আদতে এই শব্দের অর্থ হচ্ছে সুন্দর করে কাটা মাংস৷
ন্যুরেনবার্গার
ব্রাটভ্যুর্স্টের বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে ন্যুরেনবার্গে তৈরিটি আকারের কারণে সহজেই সনাক্ত করা যায়৷ এটা অস্বাভাবিক ছোট৷ অনেকটা ছোট আঙ্গুলের মতো৷ ইতিহাসের পাতায় সেই ১৩১৩ সাল থেকে এই ভ্যুর্স্টের অস্তিত্ব রয়েছে৷ এই ভ্যুর্স্ট আগুনে পুড়িয়ে এবং ছয়টি এক সঙ্গে পরিবেশনের রীতি রয়েছে৷
কারিভ্যুর্স্ট
কারিভ্যুর্স্ট হচ্ছে ভাপে সেদ্ধ করা এক ব্রাটভ্যুর্স্ট যা ক্যাচআপ আর কারি পাউডার দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়৷ যে দেশ উচ্চপ্রযুক্তির গাড়ি বানিয়ে বিখ্যাত, সে দেশের কেউ এমন ব্রাটভ্যুর্স্ট উদ্ভাবন করেছেন বললে হয়ত বিশ্বাস হবে না৷ তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বার্লিনের পাচক হার্থা হাওয়ার এই বিশেষ সসেজ তৈরি করেছেন এবং সেটি ১৯৫৯ সালে নিজের নামে পেটেন্টও করে নিয়েছেন৷
ভাইসভ্যুর্স্ট
এই সসেজের এমন নামের কারণ হচ্ছে তার রঙ৷ বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্য এই সসেজের মধ্যে বিশেষ কোনো উপাদান দেয়া হয়না, এমনকি সেদ্ধও করা হয়না৷ ফলে এটি যেদিন তৈরি করা হয়, সেদিনই খেতে হয়৷
ব্ল্যুটভ্যুর্স্ট
ব্ল্যুটভুর্স্ট বা রক্ত সসেজ সাধারণত শুকরের রক্ত এবং শুকনো মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়৷ যেহেতু এটা আগে থেকেই রান্না করা থাকে, তাই গরম খাওয়ার দরকার নেই, যদিও কেউ কেউ গরম করে নেন৷
লান্ডজ্যগার
লান্ডজ্যগার হচ্ছে সেদ্ধ করা আধা শুকনো সসেজ যা জার্মান ভাষাভাষী বিভিন্ন দেশে তৈরি করা হয়৷ এটা ফ্রিজে না রাখলেও অনেকদিন খাওয়া যায়, যে কারণে হাইকার এবং সৈন্যদের মাঝে এটি বিশেষ জনপ্রিয়৷
মেটভ্যুর্স্ট
এটা আরেক ধরনের সসেজ যা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হতে পারে৷ ফ্লেভার দেয়া কিমা করা মূলত শুকর, তবে কখনো কখনো গরুর মাংস দিয়েও এই সসেজ তৈরি করা হয়৷ এগুলো আবার বিশেষ ধোঁয়াশা পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়৷