1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার পদত্যাগ করলেন

৩১ মে ২০১০

জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন৷ আফগানিস্তানে জার্মানির সামরিক ভূমিকা নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য যে বিতর্ক সৃষ্টি করে তার পরিপ্রেক্ষিতেই পদত্যাগ করলেন হর্স্ট ক্যোলার৷

https://p.dw.com/p/Ndrh
জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলারছবি: picture-alliance/ dpa

শেষ পর্যন্ত নিজের করা মন্তব্য নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের কারণেই সোমবার পদত্যাগ করলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার৷ সম্প্রতি আফগানিস্তান সফরের সময় তিনি বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণেই জার্মান সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে কাজ করছে৷ তাঁর এই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন জার্মান রাজনীতিবিদরা৷

ক্যোলারের পদত্যাগ ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা৷ যার পটভূমিতে রয়েছে আফগানিস্তানে জার্মান সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারণ সম্পর্কে ক্যোলারের করা ঐ বিতর্কিত মন্তব্যটি৷ যুদ্ধ পরবর্তী জার্মানিতে এই প্রথম কোন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলেন৷ ক্যোলার অবশ্য সোমবার বার্লিনে ঘোষণা করেন, ‘‘আমি যে জার্মানির অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য বিদেশে জার্মান সৈন্যদের নিয়োগের সপক্ষে বক্তব্য রেখেছি, এ’ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ যারা এ’কথা বলে, তারা দেশের সর্বোচ্চ নেতৃপদটির প্রতি আবশ্যকীয় মর্যাদা প্রদর্শন করে না৷’’

NO FLASH Horst Köhler
আফগানিস্তানে জার্মান প্রেসিডেন্টছবি: picture alliance / dpa

৬৭ বছর বয়সী ক্যোলার তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করেন সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটের সভাপতি ইয়েন্স ব্যোর্মসেন’কে৷ ব্রেমেনের মেয়র ব্যোর্মসেন আপাতত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, সংবিধানে যেমন নির্দেশ করা আছে৷ এছাড়া ক্যোলার, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ভাইস চ্যান্সেলর গিডো ভেস্টারভেলে এবং ফেডারাল সাংবিধানিক আদালতের প্রধান আন্ড্রেয়াস ফসকুলে’কে অবহিত করেন৷

পদত্যাগের বিবৃতি পাঠ করার সময় হর্স্ট ক্যোলারের পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এফা লুইজে৷ পাঠ করতে গিয়ে ক্যোলারের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে এবং চক্ষুও অশ্রুসজল হয়ে আসে৷ সাংবাদিকদের সামনে ক্যোলার বলেন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্যে ছিল এক বিশাল সম্মানের ব্যাপার৷ তিনি বলেন, জার্মানির বহু মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, সেইজন্যে আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানায়৷ তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো আমার সিদ্ধান্ত বোঝার চেষ্টা করার জন্যে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী ক্যোলার তাঁর বিবৃতি প্রদানের পর পরই তাঁর সরকারি বাসভবন বেলভ্যু প্রাসাদ ত্যাগ করেন৷

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনপ্রিয় ক্যোলার ২০০৪ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালে পুনর্নির্বাচিত হন৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ