জার্মান পতাকাটি বীরদর্পে আকাশে উড়ছে | পাঠক ভাবনা | DW | 16.07.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

জার্মান পতাকাটি বীরদর্পে আকাশে উড়ছে

‘‘নিজেদের যোগ্যতার চরম পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে বর্তমান বিশ্বের ফুটবল যুবরাজ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা দলকে সিংহের মত হারিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুললো ইওয়াখিম ল্যোভের সুযোগ্য জার্মান ফুটবল দল৷'' মন্তব্য বিকাশ রঞ্জন ঘোষের৷

পুরনো বন্ধু ডা. বিকাশ রঞ্জন ঘোষ আরো লিখেছেন, ‘‘আমরা ভীষণ ভীষণ আনন্দিত ও রোমাঞ্চিত৷ এলাকায় উড্ডয়মান হাজারো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকার মাঝে একা হয়ে যাওয়া আমাদের উড়ানো জার্মান পতাকাটি এখন একাকী বীরদর্পে আকাশে উড়ছে আর এলাকাবাসীকে নিজের উন্নত শিরে দাঁড়িয়ে থাকার ঘোষণা দিচ্ছে৷ দীর্ঘজীবী হোক জার্মান ফুটবল দল৷ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন, আশা করি ভাল আছেন বিভাগীয় সকলে৷''

পাবনা থেকে ডা.এস এম এ হান্নান লিখেছেন, ‘‘অন্তরের অন্তস্তল থেকে জার্মান ফুটবল দলকে জানাই ফুটন্ত লাল গোলাপের শুভেচ্ছা৷ অনেক প্রতীক্ষা অনেক আশা, অনেক সাধনার পর জার্মানি জয়ী হলো৷ বাংলাদেশে জার্মানির ভক্ত কম হলেও আমরা ছিলাম জার্মানির সাপোর্টার৷ জয় হল জার্মানির৷

এই জয় জার্মানির একার নয়, এই জয় ইউরোপের, এই জয় আমাদের অর্থাৎ ডয়চে ভেলের পাঠকদের৷ এই জয় ফুটবলের বিশ্বশক্তির৷ এতে জার্মানি যেমন আনন্দিত, তেমনি আমরাও আনন্দিত৷ জার্মানি বার্লিনে এই জয়ের উৎসব পালন করবে, আমরা বাংলাদেশি শ্রোতারা কেন এই জয়ের উৎসব থেকে বাদ পড়বো৷ আমরা চাই ডয়চে ভেলে আবার নতুন করে আমাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করুক, যেখানে আমরা বিশ্বকাপের আনন্দটা ভাগাভাগি করতে পারি৷ পরিশেষে ম্যুলার, ক্লোসে, মারিও কে আমার এবং আমার ক্লাবের পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন৷ আমাদের পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাবের সবার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ এই বিজয়ে আমাদের সমর্থন ও ভালবাসার জয় হয়েছে- এজন্য আমরা মহা খুশি৷''

জলির পাড় থেকে মাইকেল হালদার লিখেছেন তাঁর ই-মেলে, ‘‘জার্মানিতে খুব উৎসব চলছে জানলাম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যা জেনে আমাদেরও ভালো লাগছে৷''

পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন নতুন দিল্লি থেকে সুভাষ চক্রবর্তী৷ এই ই-মেলটিও বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কে লেখা৷ তিনি লিখেছেন ঠিক এভাবে,

‘‘ভাবছি কী দেখলাম এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে? যে ফুটবল লাতিন অ্যামেরিকার প্রাণ আর আবেগ, ফুটবলের শিল্প, স্কিলে যাদের একচেটিয়া আধিপত্য, আজ তারা কতো পিছিয়ে৷ এখনকার ফুটবলে মেসি বা নেইমারের মতো ব্যক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি চাই নতুন প্রতিভা তুলে আনার উপযুক্ত পরিকাঠামো, ট্যাকটিক্যাল ডিসিপ্লিন আর টিম গেম৷ আজ ব্রাজিল যেমন জানে না যে কী ভাবে তাঁরা তাঁদের নিজেদের সত্তা ফিরে পাবে, আবার আর্জেন্টিনাও জানে না মেসি পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ প্রশ্ন আছে, কিন্তু কোনো উত্তর আছে কি? জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ফ্রান্স যেখানে ফুটবলের উন্নতির জন্য বছরে প্রচুর ইউরো ব্যয় করে, সেখানে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার মতো দেশে বাড়ে অভাব ও চরম বেকারত্বের হার৷ আর তখনই লাতিন অ্যামেরিকার ফুটবলের প্রতিভা ইউরো ডলারের খোঁজে ইউরোপের স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ডের ক্লাবে পাড়ি দেয়৷ সত্যিই এই মুহূর্তে লাতিন অ্যামেরিকার ফুটবল নিয়ে কোন উত্তর নেই৷ যে দেশের ফুটবল বেকেনবাউয়ার, গ্যার্ড ম্যুলার, লোটার মাটেউস, রুমেনিগে, ব্রাইটনার, ক্লিন্সমানদের মতো খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ, তাঁরা চার বার কেন তাঁরা আগামী দিনে আরও নতুন চমক দেখাতেই পারে৷ ‘ডয়েচলান্ড, ভেল্টমাইস্টার'- জার্মান ফুটবলের জন্য আবারও রইলো অনেক শুভেচ্ছা৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি, ভারত৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন