1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পানামা পেপার্স কিনেছে জার্মানি

৫ জুলাই ২০১৭

করফাঁকিদাতাদের ধরার জন্য জার্মানির ফেডারাল তদন্তকারীরা প্রায় ৫০ লাখ ইউরো মূল্যে তথাকথিত পানামা পেপার্স কিনেছেন – যদিও ব্যাংক থেকে বেআইনিভাবে চুরি করা তথ্য কেনা নিয়ে বিতর্ক আছে৷

https://p.dw.com/p/2fwuZ
ছবি: picture-alliance/dpa/K. J. Hildenbrand

পানামা পেপার্স অবশ্য কোনো ব্যাংক থেকে চুরি করা খবরাখবর নয়৷ করফাঁকিদাতাদের ধরার জন্য জার্মানির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সে ধরনের সিডি একাধিকবার নগদ মূল্যে কিনেছেন – বিশেষ করে জার্মান নাগরিকদের সুইশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সিডি৷

পানামা পেপার্স বলতে বোঝায় পানামার মোসাক ফনসেকা আন্তর্জাতিক আইনজীবী সংস্থা থেকে চুরি করা নথিপত্র, যা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য কীভাবে অফশোর ফার্মে তাদের টাকা জমা রাখেন, তার হদিশ পাওয়া যায়৷

জার্মানির ফেডারাল অপরাধ দপ্তর (বিকেএ) ৫০ লাখ ইউরো মূল্যে সংশ্লিষ্ট পানামা পেপার্সগুলি কিনেছে জার্মান করফাঁকিদাতাদের ধরার আশায়৷ জার্মানির হেসে রাজ্যের কর বিভাগ নথিপত্রগুলি খতিয়ে দেখছে, বলে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে বিকেএ, হেসে রাজ্যের অর্থ মন্ত্রক ও ফ্রাংকফুর্টের সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়৷

ফ্রাংকফুর্টকে জার্মানিতে ব্যাংকিং-এর রাজধানী বলা হয়ে থাকে: দেশি-বিদেশি বড় বড় ব্যাংক ছাড়া জার্মানির মুখ্য শেয়ারবাজারও এখানে অবস্থিত৷ কাজেই এ রাজ্যের কর বিভাগের কর্মকর্তাদের কর ফাঁকি ধরার ব্যাপারে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও জানকারি আছে, যে কারণে বিকেএ এই রাজ্যের কর কর্তৃপক্ষকে পানামা পেপার্স ক্রয় ও মূল্যায়নের অভিযানে সংশ্লিষ্ট থাকার আহ্বান জানায় – বলে জানিয়েছেন হেসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী টোমাস শেফার৷ এমনকি হেসে রাজ্য পানামা পেপার্স কেনার খরচও অংশত বহন করতে রাজি, বলে তিনি ঘোষণা করেছেন৷

খোলস ও মুখোশ

পানামা পেপার্স-এর খবর প্রথম ফাঁস করে জার্মানির স্যুডডয়চে সাইটুং, ২০১৬ সালে৷ ফাঁস করা নথিপত্র থেকে দেখা যায় যে, মসফন বা মোসাক ফনসেকা তাদের মক্কেলদের জন্য প্রায় দু’লাখ অফশোর ‘শেল’ কোম্পানি – বা ‘খোলস’ কোম্পানি – সৃষ্টি করেছিল৷ এই সব ‘মক্কেলদের’ মধ্যে বহু রাজনীতিক, ক্রীড়াবিদ ও অপরাপর সেলিব্রিটিরা ছিলেন৷

জার্মানির সাংবিধানিক আদালত অতীতে রায় দিয়েছে যে, জার্মান সরকার কর ফাঁকি ধরার জন্য বেআইনিভাবে সংগৃহীত তথ্য ক্রয় করতে পারেন৷ পানামা পেপার্স ক্রয়ে সংশ্লিষ্ট ফেডারাল তদন্তকারীরা বলছেন যে, তারা সংগঠিত অপরাধবৃত্তি ও বেআইনি অস্ত্র পাচার থেকে অর্জিত অর্থেরও খোঁজ করছেন, কেননা সে ধরনের মুনাফাও অফশোর ফার্মে রাখা হয়ে থাকে – অর্থাৎ কর ফাঁকি দেওয়ার পর্যায়ে পড়ে৷

‘শেল' বা খোলস কোম্পানি বলতেই যে তা বেআইনি হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই৷ শেল কোম্পানি তৈরি করার বা বিদেশে অর্থ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টার নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে৷ আবার কর ফাঁকি দেওয়া কিংবা কালো টাকা সাদা করার জন্যও অফশোর কোম্পানি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ যে কারণে পানামা পেপার্স কেলেংকারি ফাঁস হওয়া যাবৎ জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠী কর ফাঁকি দেওয়ার স্বর্গ, অর্থাৎ বিদেশে টাকা রাখার বা টাকা পাচার করার বিশেষ স্থান ও দেশগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)