1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ইসলামপন্থি এরিক ব্রাইনিঙ্গার সম্ভবত মৃত

৪ মে ২০১০

নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে ব্যর্থ বোমা হামলার ঘটনার মাঝে একটি খবর মোটামুটি চাপা পড়ে যায়৷ এবং তাহল জার্মান ইসলামপন্থি জঙ্গি বলে পরিচিত এরিক ব্রাইনিঙ্গার নাকি পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NEED
এরিক ব্রাইনিঙ্গারছবি: AP / DPA / Fotomontage: DW

উগ্র ইসলামপন্থি মহলের পক্ষ থেকে এই খবর দেয়া হয় সোমবার৷

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এই খবরকে ‘বিশ্বাসযোগ্য' বলে মনে করছে৷ তবে খবরের চূড়ান্ত সত্যতা এখনও নিরূপণ করা যায়নি৷ অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ব্রাইনিঙ্গার নিহত হবার খবরের সত্যতা পুরোপুরি সমর্থন না করেও জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটটি প্রকৃতপক্ষে জঙ্গি ইসলামপন্থি সংগঠন তাইফাতুল মনসুরা'র বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য ঘোষণারই উৎস৷

এরিক ব্রাইনিঙ্গারকে ধরার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে জার্মানির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানির সব কটি বিমান বন্দরে তার ছবি টাঙানো আছে৷ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি আছে তার বিরুদ্ধে৷ ব্রাইনিঙ্গার একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য, এই সন্দেহে জার্মান অপরাধ দমন দপ্তর তার বিরুদ্ধে তদন্তকাজ চালাচ্ছে৷

ইসলামপন্থিদের ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, ব্রাইনিঙ্গার গত শুক্রবার নিহত হয়৷ একজন তুর্কি ও দুজন উজবেক জঙ্গিও তার সঙ্গে মারা যায় বলে দাবি করা হয়েছে৷ ব্রাইনিঙ্গারের মত ঐ তুর্কিও ইসলামি জিহাদ ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধরা হয়ে থাকে৷ জঙ্গি ইসলামপন্থিদের একটি ওয়েবসাইটও চালাতো ঐ তুর্কি৷ উল্লেখ্য, ইসলামি জিহাদ ইউনিয়নের শিকড় রয়েছে উজবেকিস্তানে৷

জার্মানির জাউয়ারলান্ড সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে ব্রাইনিঙ্গারের যোগ ছিল বলেও ধরা হয়ে থাকে৷ এই গ্রুপের সদস্যরা জার্মানিতে বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনার ওপর বোমা হামলা চালানোর লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করেছিল৷ তবে নিরাপত্তাকর্মীরা আগেভাগেই তাদের ধরে ফেলে৷ গত দু'বছরে সন্ত্রাসীদের একাধিক ভিডিও বার্তায় এরিক ব্রাইনিঙ্গারকে দেখা গেছে৷ এই সব বার্তায় আফগানিস্তানে জার্মান বাহিনীর উপস্থিতির কারণে জার্মানিতে হামলা হতে পারে বলে জানানো হয়৷ তবে ২০০৮ এর অক্টোবর মাসে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় ব্রাইনিঙ্গার জানায় যে, সে আফগানিস্তানে আছে এবং ব্যক্তিগতভাবে জার্মানির বিরুদ্ধে হামলার কোন পরিকল্পনা সে করছেনা৷

এরিক ব্রাইনিঙ্গার জার্মানির জারলান্ড এলাকার ছেলে৷ ২০০৭ সালে ২২ বছর বয়সে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে৷ ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সে মিসর হয়ে পাকিস্তানে চলে যায় এবং সেখানে ইসলামি জিহাদ ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ শিবিরে নাম লেখায়৷ ২০০৮ সাল থেকেই সে জিহাদ ইউনিয়নের যোদ্ধা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে৷

পাকিস্তানি সৈনিকদের সঙ্গে লড়াইকালে ব্রাইনিঙ্গার ও অন্যরা নিহত হয় বলে ইসলামপন্থিদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গত দশ বছরে ১৮০ জন উগ্র ইসলামপন্থি জার্মানি থেকে পাকিস্তানে গেছে৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন