1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি, ফ্রান্সের মধ্যে সহযোগিতার রোডম্যাপ উদ্বোধন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি বৃহস্পতিবার অ্যাজেন্ডা ২০২০ নামে দুদেশের মধ্যে একটি সহযোগিতার রোডম্যাপ উদ্বোধন করেছেন৷

https://p.dw.com/p/LtAO
সার্কোজি ম্যার্কেলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেনছবি: AP

আগামী দশ বছর ধরে এই রোডম্যাপটি বাস্তবায়িত হলে ইউরোপের শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে দুইনেতা আশা করছেন৷

রোডম্যাপটিতে সামরিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয়ের উপর প্রায় ৮০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে একটি বৈশ্বিক চুক্তিতে পৌঁছানো এবং ইউরোপের জন্য বিদ্যুতায়িত গাড়ি তৈরির বিষয়ে একটি সার্বজনীন নীতি তৈরির বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই রোডম্যাপে৷

আফগানিস্তানে কর্মরত দুদেশের সৈন্যদের মধ্যে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে রোডম্যাপে৷ উল্লেখ্য, জার্মানি গত মাসে আফগানিস্তানে আরও ৫০০ সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা সেখানে আর কোনো সৈন্য সেদেশে পাঠাবেনা৷

এছাড়া অ্যাজেন্ডা ২০২০ অনুযায়ী, দুদেশ অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে৷ ইউরোপের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানি ও ফ্রান্সের দুই নেতা ইউরোপের বৃহত্তম সামরিক প্রকল্প এ৪০০এম নিয়েও আলোচনা করেন৷ আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সার্কোজি বলেন, প্রকল্পটি বাঁচাতে তাঁরা আলোচনা চালিয়ে যাবেন৷

জার্মানির চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন, আলোচনা অবশ্যই চলতে হবে কারণ কৌশলগত কারণে এটা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প৷ সুতরাং সবাই মিলে যেন একটা সমাধানে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে৷ এ৪০০এম নামের এই সামরিক পরিবহন বিমানটি যে কোম্পানি তৈরি করছে সেই এয়ারবাস প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে দ্রুত অর্থ ছাড়ের তাগিদ দিয়েছে৷ সাতটি দেশ জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, লুক্সেমবুর্গ ও তুরস্ক এই বিমানটি কেনার জন্য আদেশ দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, ২০ বিলিয়ন ইউরোর এই প্রকল্পটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ইতিমধ্যে চার বছর পিছিয়ে গেছে৷ এছাড়া প্রকল্পটি নড়বড়ে হয়ে যাবার কারণে প্রায় দশ হাজার চাকরি হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানা গেছে৷

এদিকে এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের খরচ যতদূর সম্ভব কমিয়ে কাজ শুরু করতে ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বার্লিনে আলোচনা করেছে৷ আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন জার্মান সামরিক মুখপাত্র নাম না প্রকাশ করে বলেছে যে, দুই পক্ষই অর্থনৈতিক বিষয়ে সমাধানের কাছাকাছি এসেছে৷ তবে আরেক কর্মকর্তা বলছেন, আলোচনায় এখনো ২৪০ কোটি ইউরোর একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷

এদিকে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইস্তান্বুলে ন্যাটো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদানের জন্য রওনা হয়েছেন৷ সেখানে সাতটি দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে৷ ঐ আলোচনায় একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন৷ উল্লেখ্য, গত বেশ কিছুদিন ধরে প্রকল্পটি নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে৷

প্রতিবেদন- জাহিদুল হক

সম্পাদনা- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়