1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে শহরে ইউনিকর্নের ছড়াছড়ি

১৫ অক্টোবর ২০২০

পক্ষীরাজ ঘোড়া বা ড্রাগনের মতো রূপকথার চরিত্র কি সত্যি খুঁজে পাওয়া যায়? জার্মানির দক্ষিণে একটি শহর ইউনিকর্নের জন্য বিখ্যাত৷ তবে যুক্তির বদলে হৃদয় দিয়ে খোঁজ করলেই নাকি সেই প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/3jxZv
Sendung Euromax - Einhorn
ছবি: DW

অনবদ্য ইউনিকর্নের সন্ধানে জার্মানির দক্ষিণে সোয়াবিয়ান গেম্যুন্ড শহরে যেতে হলো৷ ডয়চে ভেলের ইউরোমাক্স অনুষ্ঠানের রিপোর্টার হিসেবে মাইকে ক্র্যুগার অবশ্য শহরের পথে এমন কোনো প্রাণীর দেখা পেলেন না৷ অথচ তাঁকে বলা হয়েছিল, পথেঘাটে, ভবনে ইউনিকর্ন দেখা যায়৷ ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে সেটি শহরের প্রতীক চিহ্ন৷

পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মার্কুস হেয়ারমান সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অবশ্য কিছুটা লুকিয়ে রয়েছে বলে বাকি জিনিসের মতো চোখের সামনে দেখা যায় না৷ তাই ইউনিকর্ন খুঁজে নিতে হয়৷''

সেই ইঙ্গিত পেয়ে মাইকেরও চোখে পড়লো৷ রূপকথার এই চরিত্র সত্যি চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে৷ শহরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের লোগো অথবা নামের মধ্যে ইউনিকর্নের হদিশ পাওয়া যায়৷ এমনকি আইসক্রিমের মধ্যেও!

ইউনিকর্ন প্রায় ৬০,০০০ মানুষের এই জনপদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ৷ এমনকি পার্কের মধ্যেও একটি প্রাণী গজিয়ে উঠেছে৷ তবে এখনো রক্তমাংসের ইউনিকর্নের দেখা পাওয়া গেল না৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, সত্যি কি তারা রয়েছে? পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মার্কুস হেয়ারমান জানালেন, ‘‘হৃদয় দিয়ে এই প্রাণীর খোঁজ করতে হয়৷ মনে যুক্তিতর্ক নিয়ে ইউনিকর্নের খোঁজ করলে যে কেউ বিফল হতে বাধ্য৷ সে কারণে আমাদের এখানে এই প্রাণী এমন সব জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে, হৃদয় দিয়ে যেখানে সন্ধান চালাতে হয়৷''

আজও গোটা বিশ্বের শিল্পীরা ইউনিকর্ন থেকে প্রেরণা পান৷ মধ্যযুগে এই প্রাণী অনেকটা ছাগলের মতো দেখতে ছিল৷ পরে সেটি আকর্ষণীয় ঘোড়ার রূপ পায়৷ মিউজিয়ামের প্রধান জানালেন, ইউনিকর্ন নাকি বিশুদ্ধতা, নিষ্পাপ সত্তা ও জাদুর প্রতীক৷

আজও কি ইউনিকর্ন আছে?

আজও কি ইউনিকর্ন আছে? থাকলে কীভাবে চেনা যায়? এই প্রশ্নের জবাবে টিলমান বলেন, ‘‘খুবই কঠিন প্রশ্ন, কারণ মধ্যযুগীয় কিংবদন্তি অনুযায়ী একমাত্র কুমারীরাই ইউনিকর্ন চিনতে পারে৷ অর্থাৎ আজ ইউনিকর্ন দেখতে হলে তাদের কাছেই খোঁজ চালাতে হবে৷''

ফলে একটি বিকল্পই রয়ে গেল৷ ইউনিকর্ন পাওয়া না গেলে নিজেকেই একটি তৈরি করে নিতে হবে৷ মাইকের ইউনিকর্নের মূল রং অবশ্যই সাদা৷ স্বাদ বাড়াতে চেরির সুবাস যোগ করতে হয়৷ রংয়ের বাহার দেখাতে হলে ভালো করে লালের মিশ্রণও চাই৷ গরম থাকতে থাকতে চিনির তালের আকার-আয়তন ঠিক করতে হয়৷ দ্রুত সেই কাজ না করলে চিনির ডেলা ভেঙে যাবে৷ অবশেষে মাইকে সেই কাজে সফল হলেন৷ ললিপপের আকারে তিনি একেবারে নিজস্ব ইউনিকর্ন সৃষ্টি করলেন৷

মোটকথা সোয়াবিয়ান গেম্যুন্ড শহরে জীবন্ত ইউনিকর্ন দেখার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হলো৷ মাইকে ক্র্যুগার বলেন, ‘‘সোয়াবিয়ান গেম্যুন্ড শহরে ইউনিকর্ন চিনির তৈরি হলে চলবে না, কারণ বৃষ্টির কারণেও বেশিক্ষণ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন৷ তবে আসল ইউনিকর্ন সেখানে বহাল তবিয়তে রয়েছে৷''

কারণ সম্ভবত অন্য কোথাও মানুষ রূপকথার এই প্রাণীর সঙ্গে এতটা একাত্ম বোধ করে না৷

মাইকে ক্র্যুগার/এসবি