1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির জোট সরকার পতনের মুখে?

২ ডিসেম্বর ২০১৯

জার্মানির মহাজোট সরকারের শরিক দলে নেতৃত্ব বদলের ফলে সরকারের স্থায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ সরকার টিকে গেলেও ২০২১ সালে মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সংকট চলতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3U4lD
এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চল থাকলে যে নেতাদের জন্য তা বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে, সেই বাস্তব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতৃত্ব৷ একের পর এক নির্বাচনি বিপর্যয়ের পর দলটি সরাসরি সদস্যদের কাঁধে নতুন নেতা বাছাইয়ের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল৷ নারী-পুরুষের সমানাধিকারের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তির যৌথ নেতৃত্বের এক মডেল মেনে কয়েক জন প্রার্থী সেই দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী ও জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ তাঁর দোসর ছিলেন ক্লারা গাইভিৎস৷ শনিবার দলের সদস্যরা শলৎস ও গাইভিৎস-এর বদলে তুলনামূলকভাবে অখ্যাত এক জুড়িকে দলের কাণ্ডারী হিসেবে বেছে নিলেন৷ নরবার্ট ভাল্টার-বোরইয়ান্স ও সাস্কিয়া এস্কেন এবার নেতা হিসেবে দলের হাল ধরবেন৷ তাঁরা দল, তথা দেশকে আরও বামপন্থি পথে চালিত করতে চান৷

প্রশ্ন উঠতে পারে, জার্মানির ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শরিক দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গোটা দেশ তথা ইউরোপের উপর কী প্রভাব রাখতে পারে? এসপিডি দলের হাতে গোনা সদস্যদের একাংশ যে ভোট দিলেন, তার ফলে অদূর ভবিষ্যতে জার্মানিতে সরকারের পতন ও রাজনৈতিক আঙিনায় আমূল রদবদবলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ দলের নতুন দুই নেতা মহাজোট সরকারের চরম বিরোধী বলে পরিচিত৷ আনুষ্ঠানিকভাবে হাল ধরার পর তাঁদের কারণে দল মহাজোট ত্যাগ করলে আগামী নির্বাচন এড়ানো কঠিন হবে৷ তাঁরা নতুন করে কোয়ালিশন চুক্তি নিয়ে দরকষাকষির ঘোষণা করলেও বাকি দুই শরিক দল সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে৷ তারা জোট সরকার চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর৷

অথচ এই মুহূর্তে এসপিডি ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির একেবারেই ভোটারদের সামনে যাবার জন্য প্রস্তুত নয়৷ দুই শিবিরেই দলের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে সংকট চলছে৷ বিগত কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে দুই দলের প্রতি সমর্থন কমে গেছে৷ মহাজোট সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভোটারদের সমর্থন হারাচ্ছে৷ বিশেষ করে এসপিডি দল ছোট শরিক হওয়া সত্ত্বেও ঘোষিত নীতিমালার একটা বড় অংশ কার্যকর করতে সফল হলেও কিছুতেই জনসমর্থন পাচ্ছে না৷

দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবিরের এই সংকটের মূল ফায়দা তুলছে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল৷ সংসদে প্রধান বিরোধী দল একের পর এক রাজ্য নির্বাচনে ভালো ফল করে চলেছে৷ আগাম নির্বাচন হলে সেই সাফল্যের মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সপ্তাহান্তে সেই দলেও নেতৃত্বে রদবদল ঘটেছে৷ বাকি দলগুলি এএফডি-কে ব্রাত্য করে রাখলেও তাদের জয়যাত্রা রুখতে এখনো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না৷

জার্মানির মহাজোট সরকার এ যাত্রায় টিকে গেলেও ২০২২ সালে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অস্থিরতা চলতে থাকবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর শেষ কার্যকালে তাঁর ইউনিয়ন শিবিরের নেতৃত্বের লড়াই আরও জোরালো হয়ে উঠছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)