1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির জটিল সরকারি প্রচারমাধ্যম ব্যবস্থা

১৭ আগস্ট ২০২২

জার্মানিতে ২১টি সরকারি টিভি চ্যানেল ও ৮৩টি রেডিও স্টেশন আছে৷ এগুলো মূলত নাগরিকদের টাকায় চলে৷ জার্মানির প্রতিটি পরিবার প্রচারমাধ্যম ফি হিসেবে মাসে ১৮.৩৬ ইউরো (১,৮০০ টাকা) দিতে বাধ্য৷

https://p.dw.com/p/4FegH
Deutschland Beispiele öffentlich Rechtlicher Sender

এ থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা৷

প্রচলিত ভাষায় ‘সরকারি' বলা হলেও এগুলি ‘পাবলিক ব্রডকাস্টার' হিসেবে পরিচিত৷ অর্থাৎ ক্ষমতাসীন সরকার এই সব নেটওয়ার্কের কাজকর্মের উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না৷

ডয়চে ভেলেও সরকারি প্রচারমাধ্যম৷ তবে এর বাজেট সরাসরি সংসদের বাজেট থেকে আসে, নাগরিকদের দেয়া প্রচারমাধ্যম ফি থেকে নয়৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর ব্রিটিশ, ফরাসি ও মার্কিনিরা তাদের দখলকৃত এলাকায় ছয়টি প্রচারমাধ্যম চালু করেছিল৷ এগুলো হলো ব্রিটিশদের দখলে থাকা নর্থ-রাইন ওয়েস্টফালিয়ায় এনডাব্লিউডিআর, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফরাসিদের এলাকায় এসডাব্লিউএফ এবং মার্কিনিদের চারটি স্টেশন- বাভারিয়ায় বিআর, দক্ষিণ জার্মানিতে এসডিআর, হেসেতে এইচআর ও ব্রেমেনে আরবি৷

১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ এর মধ্যে এই ছয়টি প্রচারমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ ক্রমান্বয়ে জার্মানদের হাতে তুলে দেয়া হয়৷ ১৯৫০ সালের জুনে এই ছয় প্রচারমাধ্যম মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলে, যা ১৯৫৪ সালে সংক্ষেপে এআরডি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷

এসব প্রচারমাধ্যম দিয়ে পশ্চিমা শক্তিরা জার্মানদের পুনরায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে শিক্ষিত করে তুলতে চেয়েছিলেন৷ তারা চেয়েছিলেন, প্রচারমাধ্যমগুলো যেন জার্মান সরকার থেকে নিজেদের দূরে রাখে৷ সে কারণে এআরডিতে জার্মান সরকারের সমালোচনা হতো৷ বিষয়টি পছন্দ করেননি জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাউয়ার৷ ১৯৫০ সালে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটিশদের কারণে এআরডির উপর বিরোধী দলের প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷

ARD-Vorsitzende Schlesinger
পাট্রিসিয়া শ্লেসিঙ্গারের মাথায় এখন দুর্নীতির অভিযোগছবি: Britta Pedersen/dpa/picture alliance

১৯৫৯ সালে আডেনাউয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দিয়ে একটি দ্বিতীয় সরকারি প্রচারমাধ্যম চালুর উদ্যোগ নেন৷ তার এই উদ্যোগ অসাংবিধানিক বলে মনে করা হলেও ১৯৬১ সালে জেডডিএফ নামে দ্বিতীয় চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়৷

১৯৫২ সালে এআরডি টিভি চ্যানেল (যেটি এখন ‘দ্যা ফার্স্ট' বা প্রথম চ্যানেল নামে পরিচিত) আত্মপ্রকাশ করেছিল৷ ছয়টি চ্যানেলের তৈরি অনুষ্ঠান সেখানে প্রচারিত হত৷ আর প্রতি ছয় মাস পরপর ঐ ছয় চ্যানেল এআরডির প্রধানের দায়িত্ব নিত৷

১৯৫৫ সালে এআরডির অংশ এনডাব্লিউডিআর ভেঙে এনডিআর ও ডাব্লিউডিআর নামে দুটি প্রচারমাধ্যম তৈরি হয়৷ ১৯৫৯ সালে এআরডিতে যুক্ত হয় জার্মান রাজ্য জারল্যান্ডের প্রচারমাধ্যম এসআর৷ আর ডয়চে ভেলে ও রেডিও স্টেশন ডয়েচলান্ডফুঙ্ক যুক্ত হয় ১৯৬২ সালে৷

১৯৯৮ সালে দক্ষিণ জার্মানির দুটি প্রচারমাধ্যম এক হয়ে এসডাব্লিউআর গঠন করে৷ ২০০৩ সালে বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গের দুটি প্রচারমাধ্যম মিলে আরবিবি গঠিত হয়৷

এআরডির অংশ কয়েকটি চ্যানেল আবার নিজেদের অধীনে কিছু চ্যানেল চালু করে৷ যেমন এনডিআরের নিউজ চ্যানেল ছাড়াও চারটি রেডিও স্টেশন আছে৷ এই চার স্টেশনের একটিতে শুধু পপ, একটিতে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বাজানো হয়৷ আর বাকি দুটির একটিতে তরুণ শ্রোতাদের জন্য, অন্যটিতে বিকল্প শ্রোতাদের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়৷

১৯৯০ সালে দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের কারণে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে ওআরবি ও এমআর নামে আরও দুটি প্রচারমাধ্যম যাত্রা শুরু করে৷

২০২০ সালে মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে জার্মানির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের সরকারি প্রচারমাধ্যমের উপর বিশ্বাস আছে৷ গত পাঁচ বছরে সংখ্যাটি ৬৫ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল৷

বেন নাইট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য