1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাজোট সরকার না নির্বাচন?

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)২৮ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানিতে সরকার গঠনে বিলম্ব সত্ত্বেও এতকাল বিদায়ী সরকারের মন্ত্রীরা নির্বিবাদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু এই ‘কার্যনির্বাহী' সরকারের আচরণ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিচ্ছে৷ মহাজোট সরকার গঠনের উপর এই বিতর্কের আঁচ পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/2oN01
শেষ পর্যন্ত কি সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছবেন ম্যার্কেল ও শুলৎস?
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে বিদায়ী মহাজোট সরকারই আবার নতুন সংস্করণে ক্ষমতায় আসতে পারে – এমন সম্ভাবনার মাঝেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের অন্যতম শরিক বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ইউরোপীয় স্তরে এককভাবে জার্মানির হয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গ্লাইফোসেট নামের আগাছানাশক সার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এতকাল প্রবল বিতর্ক চলে আসছে৷ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই পদার্থ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে৷ তারই মাঝে জার্মানির সমর্থনে আচমকা আরও পাঁচ বছরের জন্য গ্লাইফোসেট ইইউ-র ছাড়পত্র পেয়ে গেল৷ বিদায়ী সরকারের জোটসঙ্গী এসপিডি দল এই সিদ্ধান্তের ফলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷ ফলে আগামী সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে নতুন করে আরও উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে৷

জার্মানিতে বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সত্ত্বেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর বিলম্ব সম্ভব হচ্ছে না৷ যেমন জার্মানির বেশ কিছু শহরে বায়ু দূষণের অতিরিক্ত মাত্রার কারণে ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরেও প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশের সম্মতি ছাড়া সে সব কার্যকর করা সম্ভব নয়৷ মঙ্গলবারই আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে ইইউ শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ম্যার্কেল৷ এক বছর পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হতে চলেছে৷

বৃহস্পতিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার সিডিইউ দলের ম্যার্কেল, সিএসইউ দলের প্রধান হর্স্ট সেহোফার ও এসপিডি দলের প্রধান মার্টিন শুলৎসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আশা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের পর মহাজোট সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে৷

তবে শুলৎস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার গঠনের প্রচেষ্টা মানেই শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হবে, এমনটা এখনই ধরে নেওয়া উচিত হবে না৷ বাইরে থেকে সংখ্যালঘু সরকারের প্রতি সমর্থন অথবা নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না এসপিডি দল৷