1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে রাজনৈতিক সংকট

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের সমর্থনে রাজ্য সরকার গঠনের দৃষ্টান্ত এড়াতে একজোট হবার চেষ্টা করছে জার্মানির মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি৷ সোমবার তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3XWlD
এএফডির সমর্থনে কেমারিশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিতর্ক উঠেছেছবি: picture alliance/dpa/M. Kappeler

গত সাধারণ নির্বাচনের পর চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল জার্মানির সংসদের নিম্ন কক্ষে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পর থেকেই এমন শক্তির আরও বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আশঙ্কা ছিল৷ বিশেষ করে দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির নির্বাচনে এই দলের লাগাতার সাফল্য মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকে বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে৷ এতকাল সব দলই এএফডি-র সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা বা জোট গড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে এসেছে৷ ফলে এখনো পর্যন্ত কোনো রাজ্য সরকারে যোগ দিতে পারে নি এএফডি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার গড়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব শক্তি প্রয়োগের ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়ে জার্মানির রাজনৈতিক আঙিনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল৷

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনে কোনো দল বা জোটই নিজস্ব শক্তির বলে সরকার গড়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে নি৷ তা সত্ত্বেও বামপন্থি দলের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বোডো রামেলো গত সপ্তাহে বুধবার কোনোক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশা করছিলেন৷ কারণ মাত্র একটি আসনের অভাবে তিনি সেই লক্ষ্য থেকে দূরে ছিলেন৷ কিন্তু সেই উদ্যোগে তিনি সফল হন নি৷ তার বদলে চালাকির আশ্রয় নিয়ে উদারপন্থি এফডিপি দলের এক সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে এএফডি দল৷ পরোক্ষভাবে এই ফাঁদে পা দিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে এফডিপি ও রক্ষণশীল সিডিইউ দল৷ নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী টোমাস কেমারিশ পদত্যাগ করার ফলে আবার নতুন করে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাতে হবে৷

এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার জার্মানির মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি বর্তমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসছে৷ মতপার্থক্য ভুলে বৃহত্তর স্বার্থে এএফডি-র সমর্থন ছাড়া সরকার গঠনের সম্ভাব্য পথ খুঁজছে দলগুলি৷ বামপন্থি ‘ডি লিংকে', সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও সবুজ দল রামেলো-কে সমর্থনের বিষয়ে আলোচনা করছে৷ অন্যদিকে বামপন্থি দলের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে এতকালের আপত্তি ঝেড়ে ফেলে সেই পথ বেছে নেবার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সিডিইউ দল৷ হয় বাইরে থেকে সমর্থন, কিংবা সরাসরি জোট সরকারে শামিল হয়ে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে তারা৷

বাকি দলগুলি যেভাবে একজোট হয়ে এএফডি-কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, দলটি মোটেই সেই উদ্যোগ ভালো চোখে দেখছে না৷ অন্য দলগুলিকে বিব্রত করতে তারাও সরাসরি রামোলো-কে সমর্থনের কৌশলগত পথ বেছে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ চরম দক্ষিণপন্থি দল হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিলে তা বামপন্থি দলের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর বিষয় হয়ে উঠতে পারে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির ছবিঘরটি দেখুন...