‘ইলেকট্রনিক টেক্সটবুক’
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩‘সিকে-১২ ফাউন্ডেশন' নামের একটি সংস্থা প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের বইয়ের চল শুরু করে৷ অনেক মার্কিন শিক্ষার্থী এখন তাদের ‘ফ্লেক্সবুক' ব্যবহার করছে৷ ফ্লেক্সবুক কথাটা এসেছে ‘ফ্লেক্সিবিলিটি' আর ‘টেক্সটবুক' থেকে৷ ফ্লেক্সবুক আসায় সাধারণ টেক্সটবুক ইন্ডাস্ট্রি হুমকির মুখে পড়ছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ কারণ এতে করে টেক্সটবুক সংক্রান্ত খরচ অনেক কমে যাচ্ছে৷ ফলে শিক্ষার্থী ছাড়াও ফ্লেক্সবুকের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে স্কুলগুলো৷
হান্স ভেডেনিগ উদ্যোগ নিয়ে জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হাইকো প্রিসিহোডনিকের সহায়তায় জার্মানির প্রথম ইলেকট্রনিক টেক্সটবুক তৈরি করেন৷
পরিকল্পনা করার পর তা বাস্তবায়ন করতে ক্রাউডফান্ডিং-এর সহায়তা নেন ভেডেনিগ আর প্রিসিহোডনিক৷ এর মাধ্যমে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পর্যাপ্ত টাকা তুলতে সমর্থ হন তাঁরা৷
বার্লিন রাজ্যের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই দিয়ে শুরু হলেও ভবিষ্যতে অন্য রাজ্যের অন্যান্য শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের বই নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা করছেন উদ্যোক্তারা৷
উইকিপিডিয়া থেকে ধারণা
ইলেকট্রনিক টেক্সটবুকে উইকিপিডিয়ার প্রযুক্তি অনুসরণ করা হয়েছে৷ ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা অভিভাবক যে কেউ এসব বইয়ের লেখা সম্পাদনা করতে পারেন৷ তবে সেটা অনলাইনে যাওয়ার আগে নির্দিষ্ট একজন সেটা চূড়ান্তভাবে সম্পাদনা করবেন৷ শিক্ষকরা চাইলে তাদের লেকচারগুলো ভিডিও করে অনলাইনে দিয়ে দিতে পারেন৷
অন্য বইয়ের সঙ্গে লিংক
অনলাইনের একটা সুবিধা হচ্ছে একটা বিষয়ের সঙ্গে আরেকটা বিষয়ের লিংক খুব সহজে করা যায়৷ যেমন জীববিজ্ঞান বইয়ের ক্ষেত্রে যে চ্যাপ্টারে ‘ফটোসিন্থেসিস' বিষয়টি পড়ানো হয়, তার সঙ্গে রসায়ন বইয়ের একই বিষয়ের একটা লিংক দিয়ে দেয়া যেতে পারে৷ এতে করে শিক্ষার্থীরা হয়ত আরও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারবে৷