1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

২৭ মার্চ ২০১১

বয়স তখন উনিশ, সবে ঢাকা কলেজে ঢুকেছি৷ ক্লাস তেমন হয় না৷ লেখাপড়ায় আমাদেরও মন নেই খুব৷ প্রায় নিত্যদিনই বিক্ষোভ, মিছিল৷ দেশ অগ্নিগর্ভ৷ রাজপথই বেছে নিই আমরা৷ এলো ৭ মার্চ৷

https://p.dw.com/p/10i38
বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করছেন রাষ্ট্রদূত মওসুদ মান্নানছবি: Botschaft von Bangladesch, Berlin

বঙ্গবন্ধু ভাষণে শোনালেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা, বাংলা ভাষায়৷ এবং তাঁরই রচনাঃ

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷

এই অমর কবিতা শুনে কেউই ঘরে থাকতে পারে না৷ প্রত্যেকের রক্তে হিন্দোল৷ ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে৷ উনিশ বছরের আমিই বা কী করে ঘরে বসে থাকি৷ টগবগে দামাল, অকুতোভয় যুবক কখনো গৃহবন্দী থাকে না৷

Bangladesch Unabhängigkeitstag
শিশুরা গাইছে বাংলাদেশের গানছবি: Botschaft von Bangladesch, Berlin

২৬ মার্চ সকালে, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উৎসব-উদযাপনে নানা অনুষ্ঠানমালা দেখে স্মৃতি জাগরিত হলো৷

বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মওসুদ মান্নান ঠিকই বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা এই প্রজন্মের শোনিতে, মানসে জাগিয়ে রাখতে হবে, এবং জাগরণের দায় আমাদেরই৷

হল ভর্তি শ্রোতার মধ্যে অধিকাংশই এই প্রজন্মের৷ জন্ম বার্লিনে৷ বাবা-মা বাংলাদেশের৷ বাবা-মায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীরত্ব-কাহিনী শুনছে তারা৷ সন্তানাদিকে চেতনায় উদ্বুদ্ধ করছেন মা-বাবা'রা৷

উৎসব-অনুষ্ঠান ছিল বৈচিত্রে ভরপুর৷ ছোটদের আঁকা নানা ছবির মেলা৷ এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বক্তব্যে আবেগ যতই থাকুক, খাঁটি দেশপ্রেমই উচ্চারিত৷

নাজমুন নেসা বিরচিত ১৫ মিনিটের নাটকে ১৫ জন পাত্রপাত্রী৷ বয়সে প্রত্যেকে নবীন নবীনা৷ নাটকে দেশকে ভালোবাসার গাঢ় অঙ্গীকার৷ নাটকের অন্তিমে কলাকুশলী চমৎকার মমতায়, বিপুল প্রত্যয়ে কোরাস শোনানঃ

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা

আমরা তোমাদের ভুলবো না৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই