1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে নিখোঁজ সহস্রাধিক কিশোর শরণার্থী

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারবিহীন শিশু বা কিশোর শরণার্থীদের একটা অংশ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে৷ এদের কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না৷ কোথায় যাচ্ছে এই শিশুরা? এই ঘটনাকে আতঙ্কের বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/3CadF
ছবি: picture alliance / Uli Deck/dpa

শরণার্থীদের গ্রহণ করার পর থেকেই জার্মানিতে কয়েক হাজার শিশু কিশোর নিখোঁজের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করছেন তারা গুরুতর কোনো বিপদে পড়েনি৷ তবে তাদের নিরাপদ আবাসন ও নিয়মিত খোঁজ খবরের জন্য জার্মান সরকারকে আরও সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ 

জার্মানির কেন্দ্রীয় অপরাধ তদন্ত অফিসের এক জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে নিখোঁজ শিশু-কিশোরের সংখ্যা ৮ হাজার ৪০০ ছিল৷ ২০১৯ সালের প্রথম মাসেই নিখোঁজ ৩ হাজার ২০০জন৷

অভিবাবকহীন শরণার্থীদের জন্য নিয়োজিত সেবামূলক সংগঠন ফেডারেল অ্যাসোশিয়েশন ফর আন-অ্যাকম্প্যানিড রিফিউজি মাইনরের কর্মকর্তা টোবিয়াস ক্লাউস বলেন, ‘‘নিখোঁজের সংখ্যা কমিয়ে আনা গেছে৷ তবে, মনে রাখতে হবে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যাও অধিক হারে কমেছে৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই জরিপের জন্য ৭২০জন সেবাদানকারী ব্যক্তি কাজ করছেন এইসব শরণার্থী শিশুদের জন্য৷ সেই সব কর্মীদের দাবি, শরণার্থী কিশোর নিখোঁজের সংখ্যা কমেছে কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়নি৷ প্রায়শই নিখোঁজ হচ্ছে৷ অনেকে একেবারে উধাও হয়ে যাচ্ছে যাদের হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না৷''

ক্লাউস জানান, বেশিরভাগই নিখোঁজ হচ্ছে সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র থেকে৷ অর্থাৎ তারা শরণার্থী জীবনের শুরুতেই নিখোঁজ হচ্ছেন৷ তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, নিখোঁজ শিশুদের বয়স ১৪-১৭ এর মধ্যেই বেশি৷ তারা প্রাথমিকভাবে জার্মানিতে আশ্রয় নিলেও পরে ইউরোপের অন্যদেশে আত্মীয় বা পরিচিত কারও পরিবারের সঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্তেই চলে যাচ্ছে৷ এটিকে নিখোঁজ না বলে অবস্থান পরিবর্তন বলা যায়৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘ধরা যাক একটি ছেলে মিউনিখে প্রবেশ করেছে, কিন্তু তার আত্মীয় থাকে হামবুর্গে৷ সে হামবুর্গ চলে গেলো৷ আনুষ্ঠানিকভাবে গেলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও হিসাব রাখা সহজ হয়, দুই স্থানে শরণার্থী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবও রাখতে পারে৷ তবে সচরাচর এমনটি ঘটে না বলেই নিখোঁজের সংখ্যা বেশি হচ্ছে৷''

ক্লাউস নিখোঁজের আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ‘বিতাড়িত করা' উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক কিশোর মনে করে তাদের ইউরোপে রাখা হবে না দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷ সেই আশঙ্কা থেকে তারা পালিয়ে যান৷ এসব নিখোঁজ শরণার্থীদের মধ্যে আফগানদের সংখ্যা সর্বাধিক৷ মরোক্কো ও আলজেরিয়ানও রয়েছে৷''

তবে টোবিয়াস ক্লাউস এও বলেন, ‘‘৮০ শতাংশ নিখোঁজ শরণার্থীর খোঁজ বের করতে পারলেও বাকি ২০ শতাংশ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়৷ এদের মধ্যে পাচারের শিকারও হচ্ছে কেউ কেউ৷'' সেটি নিয়ে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে বলে জানান তিনি৷

ইনেস আইসেলে/এফএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য