1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে করোনা মোকাবিলায় আরো পদক্ষেপ

১৭ নভেম্বর ২০২১

বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনুমোদিত হতে পারে৷ একই দিনে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক বসছে৷ বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের ডাক দিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/435nS
Deutschland | Coronavirus | Inzidenz über 300
ছবি: Rüdiger Wölk/imago images

জার্মানিতে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় কোনো কড়া পদক্ষেপের সম্ভাবনা কার্যত আর উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার বুধবার প্রায় ৩২০ ছুঁয়েছে৷ দৈনিক সংক্রমণের হার এ দিন ৫২ হাজার পেরিয়ে গেছে৷ বিশেষ করে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে অতীতের সংশয় ঝেড়ে ফেলে সম্ভাব্য নতুন সরকারের শরিক দলগুলি আরও জোরালো পদক্ষেপের উদ্যোগ নিচ্ছে৷ সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সংসদে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে৷ সে দিনই নিম্নকক্ষের অনুমোদন পেলে শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষও আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে নতুন পদক্ষেপ দ্রুত কার্যকর করা হবে৷ বৃহস্পতিবারই বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন৷

করোনা মোকাবিলায় কী করতে চায় জার্মানির ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন'? প্রস্তাবের খসড়া এখনো প্রকাশ্যে পেশ করা না হলেও সংবাদ মাধ্যমের একাংশ কয়েকটি পদক্ষেপের পূর্বাভাস দিয়েছে৷ এর আওতায় কর্মক্ষেত্রে প্রতিদিন কর্মী ও শ্রমিকদের অবস্থা যাচাই করা হবে৷ যেখানে সম্ভব হোম অফিস কার্যকর করা হবে৷ করোনা টিকাপ্রাপ্ত, করোনাজয়ী ও করোনা টেস্টের নেগেটিভ ফলের প্রমাণ থাকলে তবেই কর্মক্ষেত্রে যাওয়া যাবে৷ টিকা না নেওয়া কর্মীদের সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে তিন বার করোনা টেস্টের ব্যয়ও বহন করতে হবে৷ এ ছাড়া ২৫শে নভেম্বর মহামারিকালীন জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হবার পরেও রাজ্যগুলির হাতে কড়া পদক্ষেপ নেবার ক্ষমতা অটুট রাখা হচ্ছে৷ করোনা সংক্রান্ত নথিপত্র জাল করলে কড়া শাস্তির বিধান রাখতে চায় নতুন সরকার৷ গোটা দেশে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রমে সবার জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে৷

ফেডারেল সরকারের উপর নির্ভর না করে জার্মানির একাধিক রাজ্য সংক্রমণের হার কমাতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ একের পর এক রাজ্য সরকার অনেক ক্ষেত্রে শুধু টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের প্রবেশাধিকারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষকে কার্যত একঘরে করে রাখার উদ্যোগ বাড়ছে৷ এমনকি বড়দিন উৎসবের আগে খোলা আকাশের নীচে ক্রিস্টমাস মার্কেটেও এমন কড়া নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে৷ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণে রাশ টানতে সবার জন্য লকডাউনের পরামর্শ দিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের পদক্ষেপগুলি এখনো অত্যন্ত দুর্বল৷

জার্মানিতে করোনা টিকাপ্রাপ্ত মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ বেড়ে চলায় জাতীয় টিকা কমিশন ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য বুস্টার ডোজ নেবার পরামর্শ দিতে চলেছে৷ সম্ভবত শেষ টিকা নেবার চার মাস পরেই সবাই সেই সুযোগ পেতে পারেন৷ নির্দিষ্ট কিছু পেশার মানুষের জন্য জার্মানিতে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব নিয়ে তর্ক-বিতর্কও জোরালো হয়ে উঠছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য