অভিবাসন কমলে বাড়ির সংকট দূর হতে পারে
২৩ জুলাই ২০১৯জার্মানির ইকোনমিক ইনস্টিটিউট, আইডাব্লিউ সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এতে বলা হচ্ছে, গত তিন বছরে প্রতি বছর গড়ে দুই লাখ ৮৩ হাজার নতুন ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে, যা চাহিদার মাত্র ৮০ শতাংশ৷ চাহিদা পূরণ করতে চলতি বছর ও ২০২০ সালে গড়ে তিন লাখ ৪০ হাজার ফ্ল্যাট তৈরি করতে হবে বলে মনে করছেন আইডাব্লিউর প্রতিবেদনের লেখকরা৷
তবে তাঁদের ধারনা, জার্মানিতে এখন যে পরিমাণ অভিবাসী আসছে সেটা সবসময় এক থাকবে না৷ ফলে সেই সময় বাড়ির সংকট নাও থাকতে পারে৷ আইডাব্লিউ মনে করছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ফ্ল্যাটের চাহিদা প্রতিবছর দুই লাখ ৬০ হাজারে নেমে যেতে পারে৷ ২০৩০ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা আরও কমে দুই লাখ ৪৬ হাজার হতে পারে৷
আইডাব্লিউ বলছে, জার্মানির বড় শহরগুলোতে ফ্ল্যাটের সংকট বেশি৷ কোলন আর স্টুটগার্টে সমস্যাটি সবচেয়ে বড়৷ ঐ দুই শহরে গত তিন বছরে ফ্ল্যাটের চাহিদার মাত্র অর্ধেক নির্মিত হয়েছে৷
রাজধানী বার্লিন, মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো শহরগুলোতেও চাহিদার তুলনায় কম ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছ৷ তবে সেখানকার সমস্যা কোলন আর স্টুটগার্টের মতো নয়৷
কারণ কী?
রেগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিয়েল এস্টেট বিজনেস স্কুলের সায়েন্টিফিক ডাইরেক্টর টোবিয়াস ইয়স্ট বলছেন, ভবন তৈরির মতো পর্যাপ্ত জমির অভাব রয়েছে৷ বড় শহরগুলোর এখন যে কাঠামো সেখানে প্রতিবছর গড়ে তিন লাখ ফ্ল্যাট তৈরি সম্ভব নয়৷ তাই ছোট শহরগুলোতে সরকারি অফিস বসিয়ে সেখানকার গুরুত্ব বাড়াতে হবে, যেন মানুষজন সেখানে বসবাসে আগ্রহী হয়৷ এছাড়া ঐ শহরগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ করতে হবে বলে মনে করছেন ইয়স্ট৷
এছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে ধীরগতি, কঠোর নীতিমালা, দক্ষ নির্মাণ শ্রমিকের অভাব, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি - এগুলোও বাড়ি সংকটের কারণ বলে মনে করেন তিনি৷
কেয়ার্স্টেন ক্নিপ/জেডএইচ