জার্মানরা সন্তানদের যেসব নাম রাখতে ভালোবাসেন
মারি, সোফি এবং পাউল– এই নামগুলো জার্মানিতে শীর্ষ দশটি জনপ্রিয় নামের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে৷ তরুণ মা-বাবারা এসব নাম তাঁদের সন্তানের জন্য রাখতে পছন্দ করলেও নাম রাখা নিয়ে জার্মানিতে কিছু নিয়ম-কানুনও রয়েছে৷
বাবা-মায়ের প্রথম বড় ভাবনা
শিশু জন্মের আগেই তার স্ট্রলার কেমন হবে, কিংবা শিশুর ঘরের দেয়ালের রং কী হবে তা নিয়ে ভাবেন বাবা-মায়েরা৷ তবে সবচেয়ে বড় যে বিষয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেটি হলো শিশুর নাম, যা সারাজীবন শিশুর সাথে থাকে, তার পরিচয় বহন করে৷
জার্মানদের নাম রাখার নিয়ম-কানুন
জার্মানিতে অন্য সবকিছুর মতো শিশুর নাম রাখার ব্যাপারেও রয়েছে কিছু নিয়ম-কানুন৷ যেমন, শিশুটি মেয়ে, না ছেলে সেটা নাম দেখেই বোঝা যেতে হবে৷ নামটা একটু অন্যরকম হতে পারে, তবে তা যেন শিশুর জন্য মানহানিকর না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ কার্টিয়া বা চ্যাপলিন চলতে পারে, তবে পিনোকিয়ো বা বাটমান (ব্যাটম্যান) নয়৷
পুরনো নাম
বেশিরভাগ জার্মান অনেক বছর ধরে একই নাম নির্বাচন করে আসছেন৷ অনেক পুরনো নাম, যা দাদা-দাদীদের যুগে ছিল, সেগুলো আবার ফিরে এসেছে৷ মারি, মারিয়া, সোফি, পাউল, আলেকজান্ডার, ম্যাক্সিমিলিয়ান ইত্যাদি৷ গত কয়েক বছর ধরে এই নামগুলো বেশ চলছে৷
যোগ হয়েছে ইয়োহানা ও হেনরি
ক্লাসিক্যাল শীর্ষ দশটি জার্মান নামের পাশাপাশি ইয়োহানা ও হেনরি, মিয়া, আনা, লিওন এবং নোয়ার মতো কিছু নতুন নামও যোগ হয়েছে বাবা-মায়ের পছন্দের তালিকায়৷ নামগুলো যেমন ছোট, তেমনি শুনতেও বেশ মিষ্টি৷
মুসলিম নাম
এছাড়াও শীর্ষ দশটি তুর্কি-আরবি নামকেও গুরুত্ব দেয়া হয়৷ কারণ, জার্মানিতে প্রতি চার জনের একজনেরই অভিবাসী ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে৷ এদের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৪ ভাগ তুরস্ক থেকে এসেছে৷ আর এই তালিকার নামের মধ্যে রয়েছে লেলা, লেয়লা ও মোহাম্মদ৷
খ্রীষ্টান ঐতিহ্য
তবে কিছু নাম খানিকটা অদল-বদল করে সারা বিশ্বেই রাখা হয়ে থাকে৷ তাছাড়া নোয়া, মিয়া, মারি এবং পাউল মতো অসংখ্য নাম কিন্তু বাইবেলেও রয়েছে৷ যদিও অনেক মা-বাবা খ্রীষ্টান নাম এবং তার ইতিহাস বা অর্থ সম্পর্কে জানেন না বা জানতে আগ্রহীও নন৷ তাঁরা মনে করেন, শিশুর নাম হতে হবে শ্রুতিমধুর এবং ফ্যামিলি নামের সাথে মানানসই৷