জার্মানদের স্বাস্থ্য সচেতনতার নমুনা
জার্মানরা খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম বা নিয়মিত চেকআপ – যাই ধরুন না কেন, সব ব্যাপারেই বেশ স্বাস্থ্য সচেতন৷ তবে নারী, পুরুষ, পেশা বা বয়স ভেদে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে! দেখে নিন ছবিঘরে৷
নারীরা কি বেশি সচেতন?
অসুস্থ বোধ করার ফলে শতকরা ৩৫ ভাগ জার্মান পুরুষ ডাক্তারের কাছে যান৷ আর নারীদের ক্ষেত্রে এই হিসেব শতকরা মাত্র ১৭,৩ ভাগ৷ কারণ নারীরা খাওয়া-দাওয়া, নিয়মিত চেক-আপ এবং সংক্রমক রোগের বিরুদ্ধে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করেন৷ এই তথ্যটি জানা গেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র গ্ল্যাক্সো-স্মিথ-ক্লাইন’এর করা এক সমীক্ষা থেকে৷
নারীদের ফলমূল বেশি পছন্দ
জার্মান পুরুষরা ফলমূল তেমন খান না৷ তবে নারীদের মধ্যে শতকরা ৫৩ ভাগই ফলের ভক্ত৷ এমনকি নারীদের মধ্যে অনেকে দু’বেলাই ফলমূল খান৷ তাছাড়া তরুণ-তরুণীদের অধিকাংশ আজকাল সরাসরি ফল না খেলেও ফল এবং সবজির তৈরি স্মুদি খেতে পছন্দ করে৷ জানা গেছে জার্মানির অন্যতম গবেষণা কেন্দ্র টিএনএস-এমনিড’এর করা এক জরিপের ফল থেকে৷
জার্মানদের বিষণ্ণতা বাড়ছে
জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানির ডিএকে-র দেওয়া এক তথ্য থেকে জানা যায় যে, জার্মানিতে বিষণ্ণ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ সমীক্ষাতে জানানো হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা আগের তুলনায় বাড়লেও তার সঙ্গে বিষণ্ণতাও বাড়ছে৷
স্বাস্থ্য সচেতন জার্মানরা কেমন সঙ্গী চান?
ইন্টারনেট ‘ম্যাচ মেকিং’ বা পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দেয়, এমন একটি সংস্থার করা গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে এক মজার তথ্য৷ সেখানে শতকরা ২৬ ভাগ পুরুষ এবং ১৯ ভাগ নারী জানায় যে, তাঁদের সঙ্গীর ‘ফিগার’ হতে হবে স্লিম৷ অন্যদিকে শতকরা ৩৪ ভাগ মানুষের স্বাভাবিক ফিগারের সঙ্গী বা সঙ্গিনীই পছন্দ৷
ভেষজ চায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
জার্মানরা কফি-প্রিয় বলেই প্রসিদ্ধ৷ কিন্তু আজকাল জার্মানদের কাছে ভেষজ চা বা ফলের চায়ের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে৷ বিশেষ করে পুদিনা পাতা, মৌরি এবং বিভিন্ন ফলের সুগন্ধ দেয়া চা ভীষণ পছন্দ করে জার্মানরা৷ এ বছর তো তারা ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩,১ বিলিয়ন কাপ চা পান করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি৷
অফিসিয়াল ট্যুর কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
এ তথ্যই জানা গেছে ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে৷ ট্যুরে থাকাকালীন কর্মীদের ফিটনেস সেন্টারে যাওয়া, কোনোরকম শরীরচর্চা বা হাঁটা-চলা হয় না৷ তাছাড়া শতকরা ৭৫ জনই নাকি ট্যুরের সময় বেশি মদ্যপান করেন৷ আবার ৪০ বছরের কম বয়সিরা ট্যুরে গিয়ে রেস্তোরাঁর অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খান৷ অর্থাৎ যে যত বেশি ট্যুর করেন, তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি তত বেশি হয়৷
মজার তথ্য!
২০১৬ সালে কি মানুষের সর্দি-কাশি কম হচ্ছে? হ্যাঁ, তেমনটাই বলছে জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি টেকনিকার-এর করা এক সমীক্ষা৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১০, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের তুলনায় ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৩ সালে, অর্থাৎ বেজোড় সালগুলোতে নাকি অনেক বেশি মানুষ সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগার কারণে কর্মস্থলে যাননি৷