জার্মানদের জীবনযাত্রা নিয়ে কিছু কথা
প্রথম ডেট-এ জার্মানরা কী করেন? তাঁরা অন্যের বিপদে কতটা এগিয়ে যান? কিংবা ডায়েবেটিস রোগীরা অসুখের কথা অন্যদের জানাতে চায় না কেন? জার্মানদের জীবনের এমন কিছু বিষয়ই থাকছে এই ছবিঘরে৷
প্রথম ডেট-এ যা কখনোই বলবেন না
ভালোবাসার শুরু বা ডেট-এর প্রথমদিন স্বাস্থ্য বা কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত নয় বলে মনে করেন শতকরা ৭৫ জন জার্মান৷ তাঁরা মনে করেন, কোনো রেস্তোরাঁয় মনোরম পরিবেশে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে কোনো ধরনের সমস্যার কথা কারো ভালো লাগে না, বিশেষ করে প্রথমদিন তো নয়ই৷ এই তথ্যটি বেরিয়ে এসেছে তরুণদের নিয়ে জার্মানির এফওআরএসএ বা ফোরসা কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে৷
সুস্থ অবস্থায় দীর্ঘজীবী হতে চান জার্মানরা
জার্মানদের মুখে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, ‘‘অসুস্থ অবস্থায় বেশিদিন বেচে থেকে কী লাভ? শুধু দীর্ঘজীবী হওয়া নয়, সুস্থ থেকে বেশিদিন বেচে থাকাটাই বড় কথা৷ রস্টকের মাক্স প্লান্ক ইন্সটিটিউটের করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৬৫-এর ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁরা এখন আগের তুলনায় বেশি দিন বেচে থাকেন, সুস্থও থাকেন৷ তাঁদের গড় আয়ু সাত বছর বেড়েছে৷
যেভাবে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসেন জার্মানরা
গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে ইমারজেন্সি ডাক্তার না আসা পর্যন্ত আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে জার্মানির শতকরা ৪৭ জন গাড়িচালকই প্রস্তুত৷ এ তথ্য জানা যায়, ফর্সা কোম্পানির করা গবেষণা থেকে৷ তাছাড়া দুর্ঘটনা বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ জানান, এরকম পরিস্থিতিতে যে কোনো সাহায্যই গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনো ভুল হতে পারে না ভেবে আহত ব্যক্তির হৃদপিণ্ডে ম্যাসাজ করা এবং মুখ থেকে মুখে স্বাস দিলে হয়তো একটি জীবন বাঁচতে পারে৷
সোমবারের বিষণ্ণতা
জার্মনিতে শতকরা ৮৫জন কর্মজীবী মানুষ ‘মানডে ব্লুজ’-এ ভোগেন৷ শনি ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর পর সোমবার দিন কাজ করতে বা কাজে যেতে খুব খারাপ লাগে আর তাই তাঁরা বিষন্নতায় ভোগেন৷ এই বিষণ্ণতা কাটাতে কেউ ঘুম থেকে জেগেই গান শোনেন আবার কেউ বা অফিসে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ গল্প করতে চান৷
ডায়েবেটিসের কথা গোপন?
জার্মানিতে প্রতি পাঁচ জনের একজন ডায়েবেটিস রোগী তাঁদের যে ডায়েবেটিস আছে সেকথা অন্যদের জানাতে চান না৷ এমনকি সম্ভব হলে পরিবারের কাছেও তাঁরা সেকথা লুকোতে চান৷ এ তথ্য জানা যায় জার্মানির বায়ার ডায়েবেটিস কেয়ার এবং ‘ফর্সা’ কোম্পানির করা গবেষণা থেকে৷ যাঁদের বয়স ৭৫-এর বেশি, তাঁদের মধ্যেই অসুখের কথা গোপণ রাখার প্রবণতা বেশি৷
অসুস্থতার কারণে কর্মস্থলে না যাওয়া
গত বছর জার্মানিতে ৩১ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ শ্বাসনালী বা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যার কারণে কোনো-না-কোনোদিন কর্মস্থলে যেতে পারেননি৷ কর্মস্থলে না যাওয়ার দ্বিতীয় কারণের মধ্যে রয়েছে, কোমর ব্যথা৷ আর এ কারণে আনুমানিক ২৫ মিলিয়ন মানুষ কাজে যায়নি৷