1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাফর পানাহির মুক্তির দাবি জানালেন হলিউড তারকারা

২ মে ২০১০

ইরানের প্রখ্যাত সিনেমা পরিচালক জাফর পানাহির মুক্তির জন্য এবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বের নামজাদা চলচ্চিত্র তারকারা৷ তাঁরা ইরানের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যেন তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/NCOE
ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক জাফর পানাহি (ফাইল ফটো)ছবি: DW

ইরানের ৪৯ বছর বয়স্ক পরিচালক জাফর পানাহির ছবিগুলোতে উঠে আসে ইরানি সমাজের নানা দিক৷ সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, চাওয়া না পাওয়াগুলো তিনি ফুটিয়ে তুলছেন একের পর এক ছবিতে৷ প্রখ্যাত এই পরিচালক তাঁর সমাজভিত্তিক ছবিগুলোর কল্যাণে একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ একই সঙ্গে চলচ্চিত্রের কল্যাণে ইরানের সমাজকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে৷ কিন্তু স্পষ্টবাদি এই ছবি পরিচালক এখন ইরানি সরকারের রোষানলে পড়ে কারাগারে বন্দি৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইরান সরকার তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ এরপর ১ মার্চ তাঁকে সরকার বিরোধী ছবি তৈরি করার জন্য গ্রেফতার করা হয়৷

Italien USA Filmregisseur Michael Moore in Venedig Filmfestival
মার্কিন পরিচালক মাইকেল মুর (ফাইল ফটো)ছবি: AP

সংস্কৃতি তা যে দেশেরই হোক না কেন, সবই যেন এক সুতায় গাঁথা৷ তাই ইরানের চলচ্চিত্রের ওপর এই আঘাত ঠেকাতে এগিয়ে এসেছেন হলিউডের নামকরা চলচ্চিত্র তারকারা৷ একটি যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, দাবি জানিয়েছেন পরিচালক জাফর পানাহির মুক্তির৷ এই বিবৃতিতে সই দিয়েছেন, স্টিফেন স্পিলবার্গ, ফ্রাংকিস ফোর্ড কপোলা, মাইকেল মুরের মত ডাকসাইটে পরিচালকরা৷ রয়েছেন হলিউডের অন্যতম কিংবদন্তী মার্টিন স্করসেসে৷ আরও রয়েছেন রবার্ট ডি নিরো, রবার্ট রেডফোর্ড, জোয়েল কোয়েন, ইথান কোয়েন, অলিভার স্টোন সহ আরও অনেকে৷ বিবৃতিতে এসব সংস্কৃতিবান মানুষ ইরানি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইরানের চলচ্চিত্র তার আগমন বার্তা জানিয়ে আসছে, পাশাপাশি ইরানি চলচ্চিত্র তার দেশের মানুষ এবং তাদের জীবন সম্পর্কে আমাদের সম্মানও বাড়িয়ে তুলেছে৷ পৃথিবীর সব দেশেই শিল্পীদের সমাদর করা হয়, নিগৃহীত নয়৷ আমরা চাই না ইরানের ছবি নির্মাতাদের প্রতি নির্যাতন করা হোক৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের এই আহ্বানে কি ইরানি সরকারের টনক নড়বে?

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই