1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানে শাক-সবজিতে তেজস্ক্রিয়তা

৩ এপ্রিল ২০১১

জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফুকুশিমা পরমাণু চুল্লির আশেপাশে যে সব সবজির ক্ষেত রয়েছে তাতে তেজস্ক্রিয়তা থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ তাই এগুলো পুরোপুরি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ তবে শিকড় জাতীয় সবজিতে কোন সমস্যা নেই৷

https://p.dw.com/p/10mro
ছবি: AP

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জাপানের কয়েকটি অঞ্চল থেকে সবজি তোলা এবং তা বাজারে পাঠানো পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে৷ বিশেষ করে ফুকুশিমার আশেপাশে যে অঞ্চলগুলো অবস্থিত৷ এসব এলাকার মানুষদের বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এগারো ধরণের সবজি কোন অবস্থাতেই যেন না খাওয়া হয়৷ এর মধ্যে পালং শাক, বাঁধাকপি এবং ব্রকোলি উল্লেখযোগ্য৷ এই সবজিগুলোতে খুব সহজেই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়৷

জার্মানির কিল শহরের মাক্স রুবনার ইন্সটিটিউটের গবেষক ডাভিড টাইট জানান, তেজস্ক্রিয়তার বিভিন্ন কণা খুব সহজেই পাতা, ডাল অথবা গোড়ায় পৌঁছে যেতে পারে৷ তিনি খাদ্য ও পরিপুষ্টি বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বেশ কিছু সবজি রয়েছে যা ধুয়ে ফেললে প্রায় পঞ্চাশ থেকে নব্বই শতাংশ তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কমে যায়৷ তবে সব সবজিতে তা সম্ভব নয়৷

আয়োডিন-১৩১, সেজিয়াম-১৩৭ এবং স্ট্রনটিয়াম-৯০

জাপানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা খাবারে আয়োডিন-১৩১-এর উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন৷ আয়োডিনের এই মাত্রার ফলে যে কারো থাইরয়েড ক্যান্সার হতে পারে৷ তবে আট দিনের মাথায় আয়োডিনের এই ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় বলে মাটিতে পড়লেও মাটির ভেতরে তা প্রবেশ করতে পারে না৷ তাই আলু, গাজর এবং মূলার মত সবজি হুমকির সম্মুখীন নয়৷

তবে আরেকটি উপাদান সেজিয়াম-১৩৭ প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত মাটিতে টিকে থাকতে পারে৷ জার্মানির দক্ষিণে এখনো কিছু কিছু ব্যাঙের ছাতায় সেজিয়াম-১৩৭ এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷ ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর সেজিয়াম-১৩৭ ছড়িয়ে পড়েছিল বাতাসে৷ এর বিস্তৃতি ছিল জার্মানি পর্যন্ত৷ সেজিয়াম-১৩৭ শরীরে প্রবেশ করলে তা রক্ত এবং পেশিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ সেজিয়াম-১৩৭ এর একটি ডোজের ইঞ্জেকশন যদি কোন কুকুরকে দেয়া হয়, তাহলে তিন সপ্তাহের মাথায় কুকুরটি মারা যাবে৷

চেরনোবিল বিপর্যয়ের পর তেজস্ক্রিয় সম্পন্ন যে তিনটি উপাদান বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল তা হল আয়োডিন-১৩১, সেজিয়াম-১৩৭ এবং স্ট্রনটিয়াম-৯০৷ তবে জীবদেহের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক হল সেজিয়াম-১৩৭৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন