1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজজাপান

জাপানের উপর দিয়ে মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া

৪ অক্টোবর ২০২২

জাপানের দুইটি এলাকায় অ্যালার্ম বাজানো হয়েছে। স্থানীয় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4Hhnj
উত্তর কোরিয়া
ছবি: Lee Jin-man/AP/picture alliance

মঙ্গলবার একটি মাঝারি মাপের মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। ব্যালেস্টিক মিসাইলটি তারা জাপানের উপর দিয়ে ছুঁড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মিসাইলটি জাপান অতিক্রম করে আরো প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। ২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়া ফের জাপানের উপর দিয়ে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়লো।

মিসাইল পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়া কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এর তীব্র নিন্দা করেছে। জাপান বিষয়টিকে বর্বরোচিত বলে দাবি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও এর তীব্র নিন্দা করেছে। বস্তুত, গত ১০ দিনে এই নিয়ে পঞ্চমবার ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। তবে এর আগে জাপানের উপর দিয়ে মিসাইল ছোঁড়ার চেষ্টা করেনি তারা।

মিসাইলটি ছোঁড়ার পরেই জাপানের হোক্কাইডো এবং আওমোরি এলাকার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। বাঙ্কার, মাটির নীচের কেলারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। তবে শেষপর্যন্ত দেখা যায়, মিসাইলটি জাপানের উপর দিয়ে গিয়ে আরো তিনহাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া এবং অ্যামেরিকা যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়া তার বিরোধিতা করে বলেছে, বিষয়টিকে তারা আগ্রাসন হিসেবে দেখছে। এরপরেই উত্তর কোরিয়া মিসাইল পরীক্ষার গতি বাড়িয়ে দেয়। যদিও জাতিসংঘ জানিয়ে রেখেছে, উত্তর কোরিয়া আর একটিও মিসাইল পরীক্ষা করতে পারবে না। এর জন্য তাদের উপর একাধিক কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞায় আমল দিচ্ছে না।

তবে মঙ্গলবার জাপানের উপর দিয়ে মিসাইল পরীক্ষা পরিস্থিতি আরো সংকটজনক করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, জাপানের উপর দিয়ে মিসাইল ছোঁড়ার বিষয়টিও টেকনিকালি বলা যায় না। কারণ, মিসাইলটি বায়ুমণ্ডলের উপর দিয়ে গেছে। ফলে তা জাপানের আকাশসীমার উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে তা জাপানের উপর দিয়ে গেছে বলেই ধরা হবে বলে জানিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)