1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় সংসদে বিতর্কে জড়ালেন হাসিনা খালেদা

৫ এপ্রিল ২০১০

সাংসদদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক হল খালেদা হাসিনার৷ আত্মঘাতী কুলসুমকে বিরক্ত করা রোমিওদের সকলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছে পিএমও৷

https://p.dw.com/p/MnBs
শেখ হাসিনাছবি: picture-alliance / dpa

সংসদে এলেন খালেদা, বিতর্ক হাসিনার সঙ্গে

জাতীয় সংসদে রবিবার প্রায় মাস দেড়েক পরে যোগ দিয়েছেন বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া৷ প্রথমদিনেই সরকারপক্ষের সঙ্গে সাংসদদের বেতন বাড়ানোর বিল নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় বিরোধীদের৷ শেষ পর্যন্ত রাত নটার দিকে বিরোধী সাংসদরা একে একে ওয়াক আউট করেন৷ দৈনিক প্রথম আলো, ইত্তেফাক সহ প্রায় সব সংবাদপত্রেরই শিরোনাম হয়েছে এই খবর৷ সাসংদদের বেতন বাড়ানোর পরিবর্তে বিদ্যুত, পানি সরবরাহ আর গ্যাসের সমস্যার সমাধানের দাবি করেন বিরোধীরা৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জবাবে বলেন, বিরোধীরা যখন সরকারে ছিলেন, সে সময় তাঁরা যে সমস্ত অপকর্ম করেছেন তার ফলই ভোগ করতে হচ্ছে বর্তমানে৷ হাসিনা জানান, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস থেকে বিদ্যুৎ আর গ্যাসের সংকট বিরোধী সরকারই সৃষ্টি করে গেছে। সমস্যার সেই বিশাল পাহাড় নিয়ে বর্তমান সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেবল দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়া ছাড়া তাঁরা কোনো কিছুই সমাধান করতে পারেননি।' বিরোধী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নিজেই তো বলেছেন যে দেশে বিদ্যুতের দুর্ভিক্ষ চলছে। আসলে আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ। দেশে আজ বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই। সর্বত্র হাহাকার চলছে।' দু'পক্ষের চাপান উতোর বেশ কিছুক্ষণ চলার পর বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন৷ বিরোধীদের অনুপস্থিতিতেই রাত দশটা নাগাদ সাংসদদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির বিলটি পাশ হয়ে যায় সংসদে৷ এর আগে বিরোধীদের উপস্থিতিতেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি এবং মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর পাঁচটি বিল পাশ করানো হয়েছিল৷

মইন ফখরুদ্দীনের বিরুদ্ধে খালেদা মামলা আনতে পারেন, বললেন হাসিনা

প্রথম আলো আর ইত্তেফাক লিখছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ আর প্রাক্তন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের ভূমিকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া৷ বলেন, এই দুজন ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে৷ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সাম্প্রতিক অতীতে কারাগারে তাঁকে ‘স্লো পয়জনিং' করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেও এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা আনছেন না কেন এই প্রশ্ন তোলেন বিরোধী নেত্রী৷ খালেদার বক্তব্য, অনেক গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাবে এই ভয়েই ওই দুই ব্যক্তিকে চটাতে চাইছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ৷ পরে বিরোধীরা ওয়াক আউট করে চলে গেলে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ফ্লোর নিয়ে বলেন, মইন আর ফখরুদ্দীন বিএনপি-রই সৃষ্টি৷ বলেন, দশজনকে ডিঙিয়ে মইনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল বিএনপি-র আমলে৷ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী নেত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, খালেদা জিয়া ইচ্ছে করলেই এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা আনতে পারেন৷

General Moin U Ahmed
প্রাক্তন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদছবি: DW / Samir Kumar Dey

আত্মঘাতী ইলোরাকে বিরক্ত করা রোমিওদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিল পিএমও

রোমিওদের অত্যাচারে আত্মঘাতী স্কুলছাত্রী উম্মে কুলসুম ইলোরাকে যে সমস্ত রোমিও বিরক্ত করত, তাদের সকলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা পিএমও৷ ডেইলি স্টার এই সংবাদটি শিরোনামে এনেছে৷ রবিবার পিএমও-র মহা পরিচালক জেনারেল দিনা হক-এর নেতৃত্বে একদল বিশেষ প্রতিনিধি আত্মঘাতী কুলসুম ইলোরার মধ্য নন্দীপাড়ার বাড়িতে যান৷ কুলসুমের শোকাহত পরিবারবর্গকে স্বান্তনা দান করে তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এই ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক৷ শুধু পালের গোদা রেজাউল করিমই নয়, তার অন্যান্য বন্ধুদেরও গ্রেপ্তারের জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত গত প্রায় এক বছর ধরে চোদ্দো বছর বয়সী স্কুলছাত্রী উম্মে কুলসুম ইলোরাকে পথেঘাটে কুরুচিকর ভাবে বিরক্ত করে চলেছিল রেজাউল এবং তার দলবল৷ গত তেসরা এপ্রিল অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে ইলোরা৷ রবিবার সকালে মূল অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম