1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের পরিবেশ সংগঠনে যৌন কেলেঙ্কারি

২১ জুন ২০১৫

ভারতের পরিবেশ সংগঠন ‘গ্রিনপিস ইন্ডিয়া’ এবং জাতিসংঘের কিছু শান্তিমিশন কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে৷ হাইতির নারীদের অভিযোগ, শান্তি মিশন কর্মীরা লোভ এবং ভয় দেখিয়ে তাঁদের যৌন মিলনে বাধ্য করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1FihM
Symbolbild sexuelle Gewalt Prostitution Menschenhandel Zwangsprostitution
ছবি: picture alliance / Photoshot

নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারত সরকার সম্প্রতি গ্রিনপিস ইন্ডিয়ার সব ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়৷ পরে কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধসহ অন্যান্য জরুরি কার্য পরিচালনার জন্য দুটি ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হলেও গ্রিনপিস-এর বিপদ এখনো কাটেনি৷ পরিবেশ বিষয়ক বেসরকারি সংস্থাটির কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক সাবেক নারী কর্মী প্রথমে ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ করেন৷ পরে আরো কয়েকজন সাবেক কর্মীও জানিয়েছেন, গ্রিনপিস-এ তাঁরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, প্রতিবাদ করে বিচার তো পানই-নি, উল্টে তাঁদেরই এক সময় চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে৷ নারী কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রিনপিসের কতিপয় কর্মকর্তা নারীদের নানা কৌশলে শয্যায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করে কোনো লাভ হয় না, অপরাধীরাই বরং তাদের চরিত্রহননের চেষ্টার অভিযোগ তুলে নারী কর্মীদের অপদস্থ করেন৷

40 Jahre Greenpeace Antiatom Taj Mahal
ভারতে পরমাণু বিরোধী, বনসংরক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যুতে বহুদিন ধরে কাজ করছে গ্রিনপিসছবি: picture-alliance/dpa

গ্রিনপিস-এর এক সাবেক কর্মী সম্প্রতি জানান, বেঙ্গালুরুতে অফিসের কাজে হোটেলে ওঠার পরই এক পুরুষ সহকর্মী তাঁকে নিজের কক্ষ ছেড়ে তার কক্ষে চলে যেতে বলেন৷ রাজী না হওয়ায় ওই কর্মকর্তা সরাসরি যৌন নীপিড়নে চেষ্টা করেন৷ জন্মদিনে কেক খাওয়ানোর মুহূর্তটিকেও যৌন লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা৷ বেশ কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি, বরং ওই নারীকেই পরে ধর্ষণ করে গ্রিনপিস-এর কয়েকজন কর্মী৷

আরেক সাবেক কর্মী জানান, গ্রিনপিস-এর এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা সবসময় নারীদের সামনে এসে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ কথা-বার্তা বলতেন৷ যৌনতা বিষয়ক এমন কথায় অস্বস্তি হওয়ায় তিনি সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন৷ এক্ষেত্রেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি গ্রিনপিস৷ অভিযুক্ত কর্মকর্তা সেই নারীকেই পরে মনরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দেন এবং নিজে যথারীতি যৌন উত্তেজক কথা বলার অভ্যাস বজায় রাখেন৷

বেশ কিছু ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ায় গ্রিনপিস অবশেষে অতীতের নিষ্ক্রিয়তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং পাশাপাশি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে৷

জাতিসংঘের শান্তি মিশনের কতিপয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগটা আরো ভয়াবহ৷ বার্তাসংস্তা এপির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি হাইতির ২৩১ জন নারী জাতিসংঘের শান্তিমিশন এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভয় এবং লোভ দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন মিলনের অভিযোগ তুলেছেন৷ জাতিসংঘের ‘অফিস অফ ইন্টারন্যাল ওভারসাইট সার্ভিস' (ওআইওএস) পরিচালিত এক সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য৷

হাইতির হতদরিদ্র নারীরা জানান, তাঁদের মধ্যে কারো হয়তে ঘর নেই, কারো ঘর থাকলেও ঘরে খাবার নেই, কারো বা সন্তানকে সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই৷ এ পরিস্থিতিতে তাঁরা যখনই জাতিসংঘের শান্তি মিশন কর্মীদের কাছে যেতেন, সেখানকার কিছু কর্মী তখন খাবার, ওষুধ বা অন্য কোনো সামগ্রির বিনিময়ে যৌনমিলনে প্ররোচিত করতেন৷ হাইতির ওই নারীদের দাবি, দারিদ্র্য এবং অজ্ঞতার কারণে, লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা এতদিন শান্তিমিশন কর্মীদের এই অপকীর্তির খবর কাউকে জানাতে পারেননি৷

এসিবি/ডিজি (এপি, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান