জাতিসংঘের বৈশ্বিক শরণার্থী চুক্তির অর্জন ও ব্যর্থতা
২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শরণার্থীদের নিয়ে যে বৈশ্বিক চুক্তি হয় তার প্রথম বার্ষিকীতে অর্জনের খাতা একেবারে শূন্য না হলেও ওই চুক্তির পর বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অবস্থার উন্নতি কী আসলেই হয়েছে?
ভেনেজুলীয়দের ভয়াবহ যাত্রা
চরম অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় ভেনেজুয়েলার লাখ লাখ মানুষ উন্নত জীবনের আশায় দেশ ছাড়ছে৷ কলম্বিয়ার সীমান্তে পৌঁছাতে তাদের পুরো পাঁচ দিন লাগে৷ ভয়াবহ এই যাত্রা পথের ধকল, ঠাণ্ডা এবং উচ্চতার কারণে বিশেষ করে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়৷
দুয়ার খুলেছে ব্রাজিল
উন্নত জীবনের আশায় পথে নামা ভেনেজুয়েলার শত শত মানুষ প্রতিদিন ব্রাজিলের উত্তরের সীমান্ত রাজ্য রোরাইমা অতিক্রম করে৷ দক্ষকর্মীর আশায় ব্রাজিল সরকার শরণার্থীদের স্বাধীনভাবে দেশটিতে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে৷ এজন্য সীমান্ত অতিক্রমের পর দ্রুত আবেদন করতে হবে৷ শরণার্থীরা প্রথম কয়েক মাস ভাতাও পাবে৷
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্ষোভ
বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের নাজুক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়৷ এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে৷
ইউরোপ মুখী শরণার্থীর ঢল থামেনি
এখনো শরণার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে৷ গ্রিসের লেসবস দ্বীপে এত শরণার্থী জড়ো হয়েছে যে তাদের এখন সরিয়ে নিতে হচ্ছে৷
স্বল্প সক্ষমতা নিয়েও এগিয়ে এসেছে উগান্ডা
সাউথ সুদানে গৃহযুদ্ধের সময় ১০ লাখের বেশি শরণার্থী উগান্ডায় আশ্রয় নেয়৷ নতুন যোগ হয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো৷ উভয় দেশ থেকেই এখনো প্রতিদিন নতুন নতুন শরণার্থী উগান্ডায় ঢুকছেন৷ নিজে উন্নয়নশীল দেশ হয়েও প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীর জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করছে দেশটি৷
ইউএনএইচসিআরে উগান্ডার প্রশংসা
উগান্ডা সরকার শরণার্থীদের স্বাধীনভাবে চলাচল, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানান ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র দুনিয়া আসলাম খান৷
বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো সমর্থন
অক্টোবরে এক সম্মেলনে উগান্ডা সরকার শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে৷ বিশ্বে প্রতি পাঁচ জন শরণার্থীর মধ্যে চারজনই হাতে গোনা কয়েকটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷