জনপ্রিয়তা কমছে, নির্বাচনি প্রচারেও বাধা পাচ্ছেন ট্রুডো
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ক্যানাডায় জাতীয় নির্বাচন৷ বড় আশা নিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো৷ কিন্তু নির্বাচনের হাওয়া এখন তার বিপরীতে৷ দেখুন ছবিঘরে...
নির্বাচনি প্রচারে চরম প্রতিকূলতা
চলতি আগস্ট মাসেই আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো৷ আশা ছিল মোটামুটি সহজেই বৈতরণী পার হবেন৷ কিন্তু রাতারাতি বদলে গেছে পরিস্থিতি৷ গত শুক্রবার ওন্টারিওতে নির্বাচনি সভাই করতে পারেননি ক্যানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী৷ কিছু লোক এসে এমন আগ্রাসি প্রতিবাদ শুরু করেন যে সভা বাতিল ঘোষণা করে চলে আসতে হয় তাকে৷
বিক্ষোভের মুখে ট্রুডো
ওন্টারিওর নোবলটনে লিবারেল পার্টির নির্বাচনি প্রচারের বাস থেকেই নামতে পারেননি ট্রুডো৷ দরজার সামনে বিক্ষোভকারীরা হট্টগোল শুরু করায় লিবারেল সমর্থকরা কাছে আসতে পারেননি৷ দূর থেকেই হাত নেড়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান ট্রুডো৷
জনপ্রিয়তায় ভাটা
শনিবার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনমত জরিপের ফল প্রকাশ করেছে ক্যানাডার গণমাধ্যম৷ ন্যানোস রিসার্চের করা জরিপ অনুযায়ী এ মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভের প্রার্থী এরিন ও’টুল জনপ্রিয়তায় ট্রুডোর চেয়ে এগিয়ে৷ জরিপ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে এরিন ও’টুল পাবেন ৩৩.৩ শতাংশ ভোট আর ট্রুডো পাবেন ৩০.৮ শতাংশ ভোট৷ ওপরের ছবিতে ওন্টারিওতে ট্রুডোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷
প্রধান কারণ আফগানিস্তান
ন্যানোস রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে লিবারেল পার্টির যে জনপ্রিয়তায় ভাটা লক্ষ্য করা গেছে তার মূল কারণ আফগানিস্তান থেকে ক্যানাডীয় এবং আফগানদের নিয়ে আসায় সরকারের ঢিলেঢালা প্রয়াস৷
আরেক কারণ করোনা-ব্যবস্থাপনা
এছাড়া করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কারণেও জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমেছে বলে ন্যানোসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ শুক্রবার ভ্যাকসিনবিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে টরন্টোর একটি নির্বাচনি সভা বাতিল করতে হয় ট্রুডোকে৷ ওপরের ছবিটি অবশ্য শনিবার ওন্টারিওতে তোলা৷