1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি মামলার আসামী নিজামী ,মুজাহিদ ও সাঈদী

১৭ আগস্ট ২০১০

বাংলাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ৫ বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার৷ ২০০৫ সালে এই দিন দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায় জেএমবি৷ জামায়াতের ৩ শীর্ষ নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে এই প্রথম জঙ্গি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OpV9
জামায়তের শীর্ষ নেতারা ইদানিং বেশ চাপের মুখে রয়েছেনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তারা জেএমবিকে মিডিয়ার সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছিলো৷ তাদের ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদনও মঞ্জুর করেছে আদালত৷ জামায়াতের ২৪ রুকন সরাসরি জেএমবির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করছেন জেএমবি নেতারা৷ তারা জানিয়েছেন ১৭ই আগষ্টের সিরিজ বোমা থেকে শুরু করে সব ধরণের অপতৎপরতা জামায়াতের সমর্থনেই চালান হয়েছে৷

সিরিজ বোমা হামলার পর জঙ্গিরা বিচারকদের হত্যাসহ তাদের নাশকতা অব্যাহত রাখে৷ এসব মামলায় ২০০৭ সালের মার্চে শায়খ আবদুর রহমান এবং বাংলাভাইসহ শীর্ষ ৬ শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি হয়৷ তখন জামায়াতের সঙ্গে জেএমবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলেও তথ্য-প্রমাণ আর রাজনৈতিক কারণে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে জামায়াত৷ তবে এবার তথ্য প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ-জানালেন গোয়েন্দা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম৷

জামায়াতের শীর্ষ ৩ নেতা নিজামী, মুজাহিদ এবং সাঈদীকে সরাসরি জঙ্গি মামলায় আসামি করা হয়েছে৷ তারা জেএমবির পৃষ্ঠপোষক বলেও তথ্য মিলেছে৷ গত মে মাসে জুরাইনে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি৷

গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, জেএমবির সর্বশেষ আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড ভাগ্নে শহীদ গ্রেফতার হওয়ার পর তারা জানিয়েছে, জামায়াতের গোপন সংগঠনই হিসেবেই জেএমবি বেড়ে উঠেছে৷ তারা জানায়, সিরিজ বোমা থেকে শুরু করে জেএমবির সর্বশেষ তৎপরতা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাসহ সবকিছুতেই জামায়াতের সমর্থন ছিল৷ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ১৭ই আগষ্টের সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার জড়িত ছিল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন