জঙ্গিবাদে অর্থায়নের বড় উৎস সৌদি আরব: উইকিলিক্স
৬ ডিসেম্বর ২০১০অর্থের উৎস মধ্যপ্রাচ্য
জানা গেছে, আল কায়েদা সহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য যে অর্থ আসে তার বেশিরভাগ উৎস সৌদি আরব থেকে৷ এবং এটি স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কথা৷ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একটি গোপন পর্যালোচনায় তিনি লিখেছেন যে, সৌদি আরবের দাতারা বিশ্বব্যাপী সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সবেচেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে আসছে৷ উইকিলিক্স মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই দলিল ফাঁস করে দিয়েছে৷ এতে আরও বলা হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে কাতার ও কুয়েত থেকেও বিপুল পরিমাণে অর্থ আসছে আল কায়েদার জন্য৷ এবং এসব দেশগুলো এই অর্থায়ন ঠেকাতে তেমন কোন জোরালো উদ্যোগ নিতে পারছে না৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে একটি বার্তা পাঠানো হয়৷ সেটিতে বলা হয়েছিল যে, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে সৌদি আরব পুরোপুরি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে থাকে৷
ক্ষুব্ধ সৌদি রাজপরিবার
এর আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা চালানোর জন্য সৌদি বাদশাহ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিলেন, এমন গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল উইকিলিক্স৷ এখন তার সঙ্গে যোগ হলো জঙ্গিবাদে অর্থায়ন৷ এসব ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর স্বভাবতই ভীষণ অসন্তুষ্ট সৌদি রাজপরিবার৷ রোববার সৌদি রাজপরিবারের যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল দাবি করেছেন, দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা এসব গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷ তিনি বলেছেন, যদি কূটনীতিকরা তাঁদের মতামত স্বাধীনভাবে বিনিময় করতে না পারে তাহলে আমাদের সকলকেই বিপদে পড়তে হবে৷
বেকায়দায় মার্কিন কূটনীতিকরা
তবে আন্তর্জাতিক মহলে মার্কিন কূটনীতিকদের বিশ্বস্ততা ইতিমধ্যে যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেটি বলতে হয়৷ তাই আগামী মাসগুলোতে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে রদবদল আনতে যাচ্ছে ওবামা প্রশাসন৷ কেবল কূটনৈতিক মহল নয় সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অনেক পদেও পরিবর্তন আনবে ওয়াশিংটন এমন খবর জানা গেছে৷ এই বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেসলি ফিলিপ শুধু এতটুকু বলেছেন, যদি রদবদলের প্রয়োজন হয় তবে আমরা তা করবো৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই