৪ অক্টোবর ২০১৭
বিরল এক রক্তের অসুখ বাসা বেঁধেছে লিয়াহ’র শরীরে৷ নিউট্রোপেনিয়া নামের এই রোগটি তার জন্মগত৷ অথচ অসুস্থতা এক ফোঁটাও দমিয়ে দিতে পারেনি এই শিশুকে৷ হাসপাতালের বিছানায় বসে ছোট্ট এই শিশু নিজের রোগকে ‘জয়’ করার ঘোষণা দিয়েছে গানে গানে৷ ম্যান্ডিসার পপ গান ‘ওভারকামার’ হলো লিয়াহ’র প্রিয় গান৷ এই গানই তার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা৷
সম্প্রতি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এই শিশুর গাওয়া গানের ভিডিওটি৷ শিশুটির মা এই গানটির ভিডিও ধারন করেছেন৷
‘‘সে আসলেই ওভারকামার’’ বললেন লিয়াহ’র মা লিন্ডসে ক্যারল৷ বলেন, ‘‘মাত্র ৩০সেকেন্ডের ভিডিও কতকিছুই না করতে পারে৷ আমার তো মনে হচ্ছে, একটা বিস্ফোরণ হয়ে গেছে৷’’
লিয়াহকে নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় এবিসি-৭ টেলিভিশন প্রতিবেদন তৈরি করে৷ সেখানে বলা হয়, গত বছর ওকল্যান্ডের ইউসিএসএফ বেনিফ চিলড্রেন হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের মতো তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন হয়৷ এখন অবশ্য সে বাড়িতেই আছে৷
মা লিন্ডসে বলেন, ‘‘আমাদের সব কষ্ট বৃথা যায়নি৷ আমরা অনেকের কাছ থেকে উল্লেখ করার মতো অনুপ্রেরণা পাচ্ছি৷’’ ইন্টারনেটের কল্যানে গায়িকা ম্যান্ডিসার সাথে দেখা হয়েছে লিয়াহ’র৷ তাঁকে বোন ম্যারো দান করেছেন যে শিক্ষক, তার সাথেও দেখা হবে শিগগিরই৷ হোলি রবিনসন নামে এই শিক্ষক আইওয়া’র বাসিন্দা৷
লিয়াহ ও তার পরিবার এখন এ ধরনের রোগের ব্যাপারে বেশ সজাগ৷ অন্যদেরও এ ধরনের রোগের ব্যাপারে জানানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা৷
ইউসিএসএফ বেনিফ চিলড্রেন হাসপাতালে অকল্যান্ডের চিকিৎসক মার্ক ওয়াল্টার্স বলেন, ‘‘আপনি যদি উত্তর ইউরোপের কোনো দেশের সাদা নাগরিক হন, তাহলে আপনার শতকরা ৭০ ভাগ সম্ভাবনা আছে বোনন ম্যারোর সাথে মিলে যাওয়ার আর যদি আফ্রিকান আমেরিকান হন তাহলে সেই সম্ভাবনা কমে ১৮ বা ১৯ ভাগে নেমে আসবে৷’’
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লিয়াহ’র ছবি ব্যবহার করে পোস্টার তৈরি করে বোন ম্যারো দান করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন৷ তহবিল সংগ্রহে হচ্ছে গল্ফ টুর্নামেন্ট থেকে৷
‘‘লিয়াহ’র কোনো ধারণাই নেই যে সে দুনিয়াকে বদলে দিয়েছে’’ বললেন মা ক্যারল৷ ‘‘আমি জানি শেষ পর্যন্ত সে পারবেই’’ আশা এই মায়ের৷