ছুটি কাটাতে মহাকাশে!
আটলান্টিক থেকে হিমালয়— এমন কোনো জায়গা বোধহয় নেই যেখানে ভ্রমণপিপাসুদের পা পড়েনি৷ অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে ভ্রমণপিয়াসীদের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নও৷
শেষ হলো অপেক্ষা
চাঁদ থেকে মঙ্গল— মানুষ মহাকাশ জয় করেছে অনেক আগেই৷ এতদিন মহাকাশ বলতে বোঝাতো বিজ্ঞানীদের জটিল সব তত্ব আর অনুসন্ধানের বিষয়৷ তবে এখন মহাকাশ আর বিজ্ঞানীদের একার নয়, চাইলে আপনিও যেতে পারেন৷ সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা৷
কারা, কখন, কিভাবে?
মহাকাশ ভ্রমণের দৌড়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের ভার্জিন গ্যালাকটিক নামের স্পেস-ফ্লাইট প্রতিষ্ঠান৷ এ তলিকায় আরো আছে অ্যামেরিকার ব্লু অরিজিন কোম্পানি৷ তালিকায় আছে স্পেসএক্স ও বোয়িং নামে আরো দুটি প্রতিষ্ঠান৷ পর্যটক নিয়ে চলতি বছরেই মহাকাশে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা৷
কেমন হবে ভ্রমণ?
মাহাকাশ ভ্রমণে যাত্রীরা কিছু সময়ের জন্য ভরহীন অবস্থার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন৷ ভরহীন অবস্থায় রকেটের ক্যাপসুলের চারপাশে ঘোরার অনুমতি পাবেন তাঁরা৷ সঙ্গে দূরদৃষ্টি দিয়ে সবুজ এ পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি তো আছেই৷
একসাথে কতজন?
মহাকাশযাত্রা করা এ তরীগুলো আকারে খুব একটা বড় হবে না৷ ভার্জিন গ্যালাকটিক ও ব্লু অরিজিন বলছে, তাদের প্রতিটি ফ্লাইটে ছয়জন পর্যন্ত নেওয়া যাবে৷
অপেক্ষায় অনেকেই
তথ্য অনুযায়ী, সাতশ’রও বেশি ভ্রমণপিয়াসী মহাকাশে যাওয়ার জন্য ভার্জিন গ্যালাকটিকের টিকিট কেটে রেখেছেন৷ প্রতিটি টিকেটের দাম পড়েছে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত৷ এ তালিকায় আছেন জিম ক্লাস নামের এক সাংবাদিকও, যিনি ২০১০ সালেই টিকিট কিনে রেখেছেন৷
কে ছিল সর্বপ্রথম?
মহাকাশে ভ্রমণের বিষয়টি নতুন নয়৷ জোর চেষ্টা চলছিল বহুদিন থেকেই৷ ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো অ্যামেরিকান ধনকুবের ডেনিস টিটো প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন৷