1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাইমেঘ: হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল ইউরোপে

১৬ এপ্রিল ২০১০

এক মাসের মধ্যে আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির দ্বিতীয় দফা অগ্নুৎপাত এবং এর লাভা থেকে বেরুনো ছাই-এর কারণে ইউরোপে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে৷ উত্তর ইউরোপে বিমান চলাচল প্রায় পুরোপুরি বন্ধ৷

https://p.dw.com/p/Mye3
এই সেই ভয়াবহ মেঘছবি: AP

আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে বেরুনো ছাই এখনও ছেয়ে আছে ইউরোপের বিস্তীর্ণ আকাশ৷ এই ছাইমেঘের কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মত হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷ এই কিছুক্ষণ আগে ইউরোপীয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টার জানিয়েছে, আজ শুক্রবার মোট ১৭ হাজার ফ্লাইট বাতিল হতে পারে৷ অবশ্য ইতিমধ্যে প্রায় ১১ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে৷ আইসল্যান্ডের দক্ষিণ ও পূর্বে ইউরোপের আকাশে ১৮ থেকে ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ভাসছে ছাই-এর মেঘ৷ এ পথেই চলাচল করে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো৷

ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় তিনটি বিমানবন্দর যথাক্রমে লন্ডনের হিথ্রো, প্যারিসের শার্ল দ্য গল এবং জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট এয়ারপোর্ট৷ জার্মানিতে ১৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে মাত্র তিনটি খোলা রয়েছে: মিউনিখ, নুরেমবার্গ আর স্টুটগার্ট৷ উত্তর ইউরোপে বিমান চলাচল প্রায় পুরোপুরি বন্ধ৷কেবল ইউরোপই নয়, বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার ব্যস্ততম রুটগুলোতেও৷ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ৷

Chaos auf Frankfurter Flughafen nach Vulkanausbruch in Island Flash-Galerie
ফ্রাঙ্কফুট বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীরাছবি: AP

বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কত সময় লাগতে পারে?

এটা নির্ভর করছে ছাই মেঘ কখন সরে যায় তার উপর৷ তবে পূর্বাভাষ যেটা আমার কাছে রয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে প্রয়োজন হবে হয়তো আরও ২৪ ঘন্টা৷ আকাশে দেখা যাচ্ছে, বিশেষ এই মেঘ পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে৷

অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, আইসল্যান্ডের ঐ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা অব্যাহত থাকলেও তা থেকে বেরুনো ছাই-এর পরিমাণ কমছে৷ কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পুরো পরিস্থিতির দিকে খুবই সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন৷ বিমান চলাচলের উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি হলেই আকাশে ডানা মেলবে উড়োজাহাজগুলো৷

ইতিমধ্যে কি এর ফলে কোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে.?

হেলসিঙ্কি থেকে থেকে পাওয়া এক সংবাদে দেখা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছাই মেঘের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে৷ অবশ্য এতে কারও মৃতের কোন খবর পাওয়া যায়নি৷ ভূমিতে অবতরণের পর ঐ বিমানের ইঞ্জিনে পাওয়া গেছে লাভা থেকে বেরুনো ছাই৷

জার্মান চান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে ছাই মেঘের কারণে নেমে পড়েন লিসবনে৷ তাঁর সরাসরি বার্লিনে আসার কথা ছিল৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক