1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবির মধ্যেই সৃষ্টির তারিখ অমর করে রাখেন যে শিল্পী

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

কোন ছবি কবে আঁকা হয়েছিল, শিল্প বিশেষজ্ঞরাই সাধারণত সেই খবর রাখেন৷ ইটালির এক শিল্পী তাঁর ছবি সৃষ্টির সময়কাল অভিনব উপায়ে ছবির মধ্যেই ধরে রাখেন৷ ভালো করে খুঁটিয়ে দেখলে সৃষ্টির বিবর্তন চোখে পড়ে৷

https://p.dw.com/p/3nM0M
প্রতীকী ছবিছবি: William Kentridge

শিল্পী হিসেবে ফেডেরিকো পিয়েত্রেলার তুলির প্রয়োজন হয় না৷ তিনি নিজের সৃষ্টিকর্মের উপর ডেট স্ট্যাম্প বা তারিখের সিলমোহর লাগান৷ তাতে অনবদ্যভাবে সৃষ্টির দিন ফুটে ওঠে৷ ইটালির এই শিল্পী পর্দার উপর কয়েক হাজার বার ছাপ মারেন, যেগুলির সমন্বয়ে একটি শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়৷ তাঁর মতে, সময় ধরে রাখার জন্য এর চেয়ে সহজ সরঞ্জাম আর হয় না৷

রোমে ‘এক্স এলেত্রোফোনিকা' নামের গ্যালারিতে এই শিল্পী বিষয় হিসেবে সময়ের উপলব্ধি তুলে ধরছেন৷ একটিছবি সৃষ্টি করতে তাঁর দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে৷ ডেট স্ট্যাম্পে কাজের প্রতিটি দিনের তারিখ বেছে নেওয়া হয়৷ ফলে ছবিটি ভালো করে খুঁটিয়ে দেখলে কাজের দিনগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷ ফেডেরিকো বলেন, ‘‘যেমন এই ছবিটি সৃষ্টি করতে আমার প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিল৷ ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ১লা অক্টোবর৷ সেই তারিখগুলি এখানে দেখাও যাচ্ছে৷ যেমন ১লা অক্টোবর কাজের শেষ দিন ছিল৷''

প্রায় ২০ বছর ধরে ফেডেরিকো তাঁর সৃষ্টিকর্মের জন্য তারিখ লেখা ডেট স্ট্যাম্প ব্যবহার করে চলেছেন৷ গোটা ইউরোপে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে সেগুলি দেখানো হয়েছে৷ রোম শহরেই তাঁর জন্ম, সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন৷ শহরের ফাইন আর্টস অ্যাকাডেমিতে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন৷ প্রাচীন এই শহরে তিনি অফুরন্ত মোটিফ খুঁজে পান৷ শহুরে পথঘাট থেকে শুরু করে প্রাচীন স্থাপত্য, এমনকি শহরের মধ্যে প্রকৃতির ছোঁয়াও পাওয়া যায়৷ মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেগুলিকে সৃষ্টিকর্মের টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি৷ ফেডেরিকো পিয়েত্রেলা বলেন, ‘‘এটা পর্যটকদের প্রিয় এক ভিউয়িং প্ল্যাটফর্ম৷ নিজের শহরে পর্যটক নই বলে আমি শহরের উপরে মেঘের রাশিকে মোটিফ হিসেবে খুঁজে নিয়েছি৷ উপরের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নতুন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরতে চাই৷''

তারিখের সিলমোহর দিয়ে চিত্রকর্ম

শেষে ফেডেরিকো কম্পিউটারে ছবির মধ্যে রদবদল ঘটিয়ে স্ট্যাম্পচিত্রের জন্য আদর্শ কনট্রাস্ট ও রংয়ের তাপমাত্রা স্থির করেন৷ তাঁর শিল্প দর্শকদের ‘সময়'-এর সংজ্ঞা সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করবে, এমনটাই তিনি চান৷ ‘মাই টাইম ইজ ইয়োর টাইম' নামের প্রদর্শনীতেও সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে৷

নিজের শহরে ফেডেরিকো পিয়েত্রেলার প্রদর্শনী মোটেই এক থাকে না৷ তিনি সেখানে ক্রমাগত নতুন ছবি নিয়ে কাজ করেন৷ দর্শকরা তাঁর সঙ্গে সময় ভাগ করে নিতে পারেন৷ ফেডেরিকো বলেন, ‘‘হয়তো একশো বছর পর কোনো মানুষ আমার কাজের এই তারিখগুলি পড়বেন৷ তখন তিনি অতীত সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন৷ এমনটা ভাবতেই ভালো লাগে৷''

তারিখের মতো সাধারণ তথ্যকে ফেডেরিকো পিয়েত্রেলা কালজয়ী শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেন৷

শেলহাস/ক্রেচমার/এসবি