ছবিতে ম্যানচেস্টার বিস্ফোরণ
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরে ২২ শে মে রাতে অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডি-র কনসার্টে ২১ হাজার ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছিল৷ কনসার্ট শেষ হওয়ার ঠিক আগে বিস্ফোরণ হলে কমপক্ষে ২২ জন নিহত ও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়৷ কী হয়েছিল সেখানে? দেখুন ছবিঘরে৷
কনসার্ট অ্যারেনায় বিস্ফোরণ
রাত তখন সাড়ে দশটা৷ ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় জনপ্রিয় মার্কিন পপ গায়িকা অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডি-র লাইভ কনসার্টের ঠিক শেষ পর্যায়ে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে৷ বিস্ফোরণের ধাক্কায় অনেকেই মাটিতে পড়ে যায়৷ অ্যারেনায় প্রবেশমুখের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে কাঁচের টুকরো৷
আতঙ্কে হুড়োহুড়ি
বিস্ফোরণের পর কনসার্ট এলাকা ছাড়তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়৷ গ্র্যান্ডি-র ভক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে৷ তাই তাদের নিয়ে যেতে ভেন্যুর বাইরে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকরা৷ পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ আহত অন্তত ৫০ জন৷ যাদের আঘাত গুরুতর নয়, তাদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেয়া হয়, বাকিদের পাঠানো হয় হাসপাতালে৷
শোকে ভাষাহারা গ্র্যান্ডি
অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডির পুরোনো ছবি এটি৷ এই মার্কিন গায়িকার বয়স মাত্র ২৩ বছর৷ ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বেরিয়েছেন তিনি, যার নাম ‘ডেঞ্জারাস ওমেন ট্যুর’৷ তাঁর পরবর্তী কনসার্ট ছিল লন্ডনে, আগামী ২৫ মে৷ ম্যানচেস্টার বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর গ্র্যান্ডি টুইট করেন, ‘‘আমি ভেঙে পড়েছি৷ আমি আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি৷ আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি৷’’
সবাই আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে
বিস্ফোরণের পরপরই আহত বা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সক্রিয় হয়ে ওঠেন৷ ভেন্যুর আশেপাশের হোটেলগুলো এমন অনেকেরই থাকার ব্যবস্থা করেছিল, যারা তাদের বাবা-মা কে খুঁজে পায়নি৷ এছাড়া #RoomforManchester হ্যাশট্যাগের সাহায্যে আটকে পড়া দর্শকদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ ট্যাক্সি কোম্পানিগুলি টুইটারে বিনামূল্যে দর্শকদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবার ঘোষণা দেয়৷
‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ধারণা
এই বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ধারণা করছে পুলিশ৷ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘পুলিশের কাছে কেন এটা সন্ত্রাসী হামলা মনে হচ্ছে, সে সম্পর্কে সব তথ্য জোগাড় করার আহ্বান জানিয়েছি৷’’