ছত্রাকের কারণে বিপন্ন সরীসৃপ
এশিয়ার উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীদের দেহে বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম ছত্রাকের আক্রমণ যেমন বেশি, তেমনি তাদের উপযোজন ক্ষমতাও বেশি৷ কিন্তু ইউরোপে উভচর ও সরীসৃপদের এ ক্ষমতা কম থাকায় তারা আজ বিলুপ্তির পথে৷
বিধ্বংসী ছত্রাক
ছত্রাক সংক্রমিত হলে উভচরের ত্বকে পচন ধরে যায়৷ পুরো দেহে তা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে মনে হয় যেন ছত্রাকটি প্রাণীটিকে খেয়ে ফেলছে৷
বিবর্তনীয় প্রতিরোধ
এশিয়ার অনেক উভচর এবং গোসাপের দেহে ছত্রাকের সংক্রমণ খুব স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু সেখানে সংক্রমণের পর উভচররা অসুস্থ হয় না৷ কারণ এশিয়ার এসব প্রাণীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি৷ তবে পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে ইউরোপের উভচর প্রাণীরা ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হলেও প্রতিরোধ গড়তে তাদের বেশ সময় লাগে৷
উভচরদের জন্য বিপজ্জনক
২০১০ সালে নেদারল্যান্ডস-এ ছত্রাক উভচরদের মহামারির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ এছাড়া বেলজিয়ামের বিজ্ঞানীরা এমন ৩৫টি প্রজাতি উভচরের দেহে ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ দেখেন, যেগুলোর সব ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার প্রাণী৷
কল্পনাতীত পরিস্থিতি
আল্পসে যেসব উভচর থাকে তারা এসব বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম ছত্রাকে একেবারেই অসহায়৷ বেলজিয়ামের গবেষকদের বিশ্বাস এরা খুব দ্রুত ছত্রাকের সংক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷ তাঁরা বলছেন, পরিস্থিতি যতটা খারাপ ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও ভয়াবহ৷
ব্যাঙদের জন্য হুমকি
ব্যাঙদের সাধারণত ছত্রাক প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে৷ কিন্তু বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদেরও কম৷ তাই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে এই ছত্রাকের আক্রমণে ব্যাঙদের প্রজনন হার কমে আসছে৷
বিলুপ্তির পথে
গত কয়েক বছরে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে দুইশরও বেশি উভচর প্রজাতি৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের মৃত্যুর কারণ ছত্রাক৷ তবে অন্যান্য কারণও রয়েছে৷ যেহেতু উভচররা তাদের ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়, ফলে পরিবেশ দূষণ এদের হুমকির অন্যতম কারণ৷