1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেয়ার স্টাইনব্রুক

ভল্ফগাং ডিক/আরবি১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির চ্যান্সেলর প্রার্থী পেয়ার স্টাইনব্রুককে বলা হয় একজন চৌকস রাজনীতিক, তুখোড় বক্তা, স্বীকৃত অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ৷ জরিপের ফলাফল অনুকূল না হলেও আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভের আশা তিনি ছাড়েননি৷

https://p.dw.com/p/19dVb
SPD Kanzlerkandidat Peer Steinbrück spricht am 29.08.2013 in Berlin bei der Vorstellung seines 100-Tage-Programms vor der Bundespressekonferenz. Foto: Michael Kappeler/dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

তাই তো তিনি দীপ্ত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমি জার্মানির চ্যান্সেলর হতে চাই৷'' হামবুর্গের এক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে পেয়ার স্টাইনব্রুক৷ সামাজিক গণতান্ত্রিক পার্টিতে ক্যারিয়ার গড়েছেন কয়েক দশক আগে৷ অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করে চ্যান্সেলর দপ্তরে কাজ শুরু করেন তরুণ স্টাইনব্রুক৷ এরপর বিভিন্ন দপ্তরে ও মন্ত্রণালয়ে নানা পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি, হয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ অবশেষে নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন৷ কিন্তু রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ালেও জয়ী হতে পারেননি তিনি৷ ২০০৫ সালে অর্থমন্ত্রী হিসাবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বৃহৎ কোয়ালিশনের যোগ দেন তিনি৷ সেই সময়ের কথা স্মরণ করে স্টাইনব্রুক বলেন, ‘‘আঙ্গেলা ম্যার্কেল শুধু সরকার চালিয়েছেন কিন্তু রূপরেখা প্রণয়নে তেমন কোনো অবদান রাখেননি৷ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় এসপিডির হাতের ছোঁয়াই রয়েছে৷''

Bilderegalerie Deutschland Politiker Fahrrad Peer Steinbrück
অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করে চ্যান্সেলর দপ্তরে কাজ শুরু করেন তরুণ স্টাইনব্রুকছবি: picture-alliance/dpa

পেয়ার স্টাইনব্রুক একজন নির্মাতা, একজন স্রষ্টা

পেয়ার স্টাইনব্রুক নিজেকে একজন নির্মাতা, একজন স্রষ্টা হিসাবে তুলে ধরতে ভালবাসেন৷ কিন্তু অর্থ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলেছে৷ জানা গেছে, ২০১২ সালে চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার আগে সাধারণ সাংসদ থাকাকালীন বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থনীতি বিষয়ক বক্তৃতা দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন স্টাইনব্রুক৷ অর্থের পরিমাণ এক মিলিয়ন ইউরোরও বেশি৷ একদিকে তিনি ব্যাংকের কাছ থেকে এত টাকা পেয়েছেন, অন্যদিকে ‘লোভী' অর্থনৈতিক সিস্টেম ও সামাজিক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছেন, বিষয়টিকে অনেকে স্ববিরোধী বলে মনে করেন৷ এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সজোরে প্রতিবাদ করেন স্টাইনব্রুক৷ জানান, নিয়ম বহির্ভূত কিছু করেননি তিনি৷

কথা বলেন সোজা সাপটা

পেয়ার স্টাইনব্রুক বুদ্ধিমান, কথা বলেন সোজা সাপটা, যাতে কিছুটা উপদেশের সুরও শোনা যায়৷ নির্বাচনে তাঁর মূল লক্ষ্য ধনীদের করের পরিমাণ বাড়িয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা৷ স্টাইনব্রুকের ভাষায়, ‘‘গত বছরগুলিতে ধনীরা আরো ধনী হয়েছে, আর গরিবরা আরো গরিব৷ কথাটা স্টাইনব্রুক ও এসপিডির আবিষ্কার নয়, বরং ফেডারেল পরিসংখ্যান দপ্তরের৷ সে জন্য আমার বিশ্বাস, সম্পদের এক অংশ আমরা কাজে লাগাতে পারি শিক্ষা, পরিকাঠামো, ঋণসংকোচন ইত্যাদি ক্ষেত্রে৷''

SPD Kanzlerkandidat Peer Steinbrück Berlin Vorstellung 100 hundert Tage Programm Bundespressekonfernz Bundes PK
পেয়ার স্টাইনব্রুক বুদ্ধিমান, কথা বলেন সোজা সাপটা, যাতে কিছুটা উপদেশের সুরও শোনা যায়ছবি: picture-alliance/dpa

স্টাইনব্রুক চান, সারা দেশে শ্রমের একটা ন্যূনতম মজুরি ধার্য করতে৷ সামাজিক মর্যাদা যাই হোক না কেন, সবাইকে ওপরে ওঠার সুযোগ দিতে৷ কর্মজীবী মেয়েদের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি করতে৷ কয়েক বছর আগে গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের সরকারের আমলে এক সমাজ সংস্কার প্রকল্প ‘অ্যাজেন্ডা ২০১০' তৈরিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন স্টাইনব্রুক৷ নানা খাতে খরচ কমানো ও কাটছাঁট করায় সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁকে৷

সংস্কার প্রকল্প থেকে লাভবান হচ্ছে বর্তমান সরকার

এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমি গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের সংস্কার প্যাকেজকে সমর্থন করি৷ সে জন্যই আমরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছি৷ তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ সেগুলি আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো৷''

স্টাইনব্রুক নির্বাচনি লড়াই করে যাচ্ছেন৷ জরিপের ফলাফল অনুকূলে না হলেও তা অগ্রাহ্য করছেন৷ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পয়েন্ট পেতে চান তিনি৷ ভোট দেওয়ার ব্যাপারে যারা এখন দ্বিধাগ্রস্ত, তাদের কাছে টানতে চান৷ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেন এই চ্যান্সেলরপ্রার্থী৷ যেমন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির জার্মানির তথ্য সংরক্ষণ আইনকে মর্যাদা দিতে হবে৷ তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে রাশিয়াকে আরো সচেষ্ট হতে হবে৷ দক্ষিণ ইউরোপের দরিদ্র দেশগুলির জন্য ব্যয় সংকোচনের কঠোরতা কিছুটা শিথিল করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি৷ এই প্রসঙ্গে স্টাইনব্রুক বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, ব্যায়সকোচনের ডোজটা অনেক দেশের জন্য প্রাণঘাতী এবং এভাবে চলতে থাকলে অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাবে৷''

Bildergalerie Ästhetischer Wandel von Wahlplakaten
জার্মানিতে নির্বাচনের আমেজছবি: picture-alliance/dpa

চ্যান্সেলর ভিলি ব্রান্টের প্রভাব

রাজনীতি ক্ষেত্রে এক বিশেষ সাফল্য তরুণ স্টাইনব্রুককে এসপিডির প্রতি আকৃষ্ট করে৷ ২১ বছর বয়সে এই দলের সদস্য হন তিনি৷ তত্কালীন চ্যান্সেলর ভিলি ব্রান্টের পূর্ব ইউরোপ তথা ‘ইস্টব্লক' সংক্রান্ত রাজনীতি মুগ্ধ করে তাঁকে৷ ভিলি ব্রান্টের সেই বাক্যটি আজও অনুপ্রাণিত করে এই স্টাইব্রুককে: ‘‘কোনো কিছু আপনা আপনি হয় না৷ তা তোমাদের জয় করে আনতে হয়৷ ইউরোপে শান্তি চাইলে, ভালো প্রতিবেশী হতে চাইলে., সমাজে শান্তি বজায় রাখতে চাইলে, সচেষ্ট হতে হবে সবাইকে, করতে হবে লড়াই৷''

চ্যান্সেলর হতে পারলে সেটাই করতে চান পেয়ার স্টাইনব্রুক৷ তবে তা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বৃহৎ কোয়ালিশনে থেকে নয়৷ আর তাই তো বলেন, ‘‘আমরা শুধু অন্যের প্রয়োজনে লাগবো, এমন নির্বোধ নই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য