চোরাই সম্পদ ফেরত পাওয়া সহজ নয়
ঔপনিবেশিক শাসনের সময় অনেক ঐতিহাসিক ও অমূল্য সম্পদ পাচার হয়ে গেছে৷ আবার আইএস-এর মতো গোষ্ঠী ধ্বংস করে দিচ্ছে ঐতিহ্য৷ নাৎসি আমলে লুটপাটের সম্পদ ফিরে পাবার এক ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি একটি চলচ্চিত্র সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে৷
কোহিনূর ফেরত পাবে না ভারত
ব্রিটেন ভারতকে অমূল্য কোহিনূর হীরা ফেরত দেবে না – ২০১৩ সালে ভারত সফরে এসে এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ ১০৫ ক্যারেটের এই ‘চোরাই’ সম্পদ টাওয়ার অফ লন্ডনেই শোভা পাবে৷ অর্থাৎ ঔপনিবেশিক শাসনের এমন ‘পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে চান না ব্রিটিশ নেতারা৷
মোসুল মিউজিয়ামে ধ্বংসলীলা
ঐতিহাসিক সম্পদ দেশে থেকে গেলেও তা যে সবসময় নিরাপদে থাকে না, তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত সিরিয়া ও ইরাক জুড়ে ইসলামিক স্টেট-এর তাণ্ডব৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোসুল শহরে মিউজিয়ামে আইএস জঙ্গিরা প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন ধ্বংস করেছে৷
‘উইম্যান ইন গোল্ড’
নাৎসি আমলেও গোটা ইউরোপে অনেক অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদ মালিকদের হাতছাড়া হয়েছে৷ ১৯০৩ সালে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী গুস্তাভ ক্লিম্ট-এর আঁকা ‘আডেলে ব্লখ বাউয়ার’ নামের ছবিটি তার মধ্যে অন্যতম৷ কয়েক বছর আগে বিষয়টি শিল্পজগত ও বিচার ব্যবস্থায় আলোড়ন তুলেছিল৷ নাৎসি আমলে শিল্পকর্ম লুটপাটের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাকে ভিত্তি করে সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে৷
চোরাই ছবি ফিরে পাওয়ার প্রয়াস
চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র মারিয়া আল্টমান৷ বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি জানতে পারেন যে, বিখ্যাত ছবিটি আসলে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি৷ স্বামীর সঙ্গে নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ ছবির খবর পেয়ে তিনি এক তরুণ আইনজীবীর সঙ্গে ভিয়েনা আসেন৷ সেখানেই গুস্তাভ ক্লিম্ট-এর আঁকা ছবিটি শোভা পাচ্ছে, যার মডেল ছিলেন আল্টমান-এরই এক আত্মীয়৷
নাৎসি তাণ্ডবের শিকার
শুধু ছবি ফিরে পাবার বিষয়টি নয়, ভিয়েনার চিনির ব্যবসায়ী ব্লখ-বাউয়ার পরিবার কীভাবে অস্ট্রিয়া দখলের পর নাৎসিদের তাণ্ডবের শিকার হলো, এই চলচ্চিত্রে সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে৷ গুস্তাভ ক্লিম্ট-এর আঁকা পাঁচটি ছবিই হাতিয়ে নেয় নাৎসিরা৷
চোরাই শিল্পকর্ম আজও বড় বিষয়
সম্প্রতি মিউনিখে নাৎসি আমলের চোরাই শিল্পকর্মের বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কারের কারণে ‘উইম্যান ইন গোল্ড’ ছবিটি জার্মানিতে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ জার্মান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠলেও ছবিতে অস্ট্রিয়ার কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা হয়েছে৷ দেখা যাচ্ছে, সরকারি কর্মীরা ছবি উদ্ধারে মারিয়া আল্টমান-এর আইনজীবীর সঙ্গে মোটেই কোনো সহযোগিতা করছেন না৷ ছবিটি সম্পর্কে আরও জানতে উপরে ডান দিকে ক্লিক করুন৷