চোট না পেলে সাফল্যের আশা পাকিস্তান টিমের
১ মার্চ ২০১১তবে সাফল্যের পথে বাধা-বিপত্তির অভাব নেই৷ কারণ একের পর এক সংকটের ফলে আসল খেলায় মন দিতে পারছে না পাকিস্তানের জাতীয় দল৷ কেনিয়াকে হারানোর পর শনিবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কাকেও ১১ রানে হারিয়ে অবশ্য দল কিছুটা চাঙা হয়েছে৷ ভালো খেলা দেখানো সত্ত্বেও দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলমের চিন্তা খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা নিয়ে৷ তাদের কেউ বড় রকমের চোট পেলেই ধারাবাহিক সাফল্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে৷ ক্যানাডা, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবওয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে তাই দলকে ‘অক্ষত' রাখার দিকেই মনযোগ দিচ্ছেন আলম৷
১৯৯২ সালের অভাবনীয় সাফল্যের পর পাকিস্তান অন্যান্য বিশ্বকাপে তেমন চমক দেখাতে পারে নি৷ ১৯৯৯ সালে অবশ্য ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল এই দল৷ গত বিশ্বকাপে অবশ্য প্রথম রাউন্ডেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের গ্লানি আজও মুছে যায় নি৷ সেইসঙ্গে জামাইকার হোটেলের ঘরে কোচ বব উলমারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাও দলকে তাড়া করে এসেছে৷ দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি ৩ খেলোয়াড়কে হারাতে হয়েছে পাকিস্তানকে৷ নিরাপত্তার কারণে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দেশের মর্যাদাও হাতছাড়া হয়ে গেছে৷ বলাই বাহুল্য, দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয় করতে পারলে সেই সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম