1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চুক্তি না হলেও ব্রেক্সিটে বিলম্ব নয়'

৭ অক্টোবর ২০১৯

সপ্তাহান্তে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা দেখা গেলেও ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ ব্রেক্সিট সম্পর্কে বরিস জনসন পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3Qovh
Großbritannien Premierminister Boris Johnson
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/W. Szymanowicz

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়ে দিয়েছেন, যে আগামী ৩১শে অক্টোবরেই ব্রেক্সিট কার্যকর হবে৷ সংসদের উদ্যোগে আনা আইন সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রে কোনো বিলম্ব হতে দেবেন না তিনি৷ রোববার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-র সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনায় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘সতর্ক' করে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে এটাই শেষ সুযোগ৷ 

আসলে সপ্তাহান্তেই জনসন তাঁর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইইউ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চালাতে চেয়েছিলেন৷ সেই প্রস্তাবের আওতায় উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশকে ব্রিটেনের শুল্ক কাঠামোর মধ্যে রেখেও সেখানে সাময়িকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু নিয়ন্ত্রণ চালু থাকবে৷ ইইউ অবশ্য সেই প্রস্তাবকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে পারছে না, কারণ অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে৷ ব্রিটেনের সরকারের কাছে সে সব বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ব্রাসেলস৷ তাই এমন প্রস্তাব নিয়ে এখনই সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনার কোনো কারণ দেখছে না ইইউ৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ অবশ্য ব্রাসেলসে দুই পক্ষের মধ্যে জোরালো আলোচনার ডাক দিয়েছেন৷ ব্রিটেনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য বোঝাপড়া সম্ভব কিনা, চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

জনসন চাইছেন, তাঁর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইইউ সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে আপোশের পথে অগ্রসর হোক৷ একাধিক ব্রেক্সিটপন্থি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক লেখনিতে তিনি ইইউ-র উদ্দেশ্যে ‘লাফ মেরে মাঝপথে ব্রিটেনের সঙ্গে মিলিত' হবার ডাক দিয়েছেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনটি রিনে শনিবার বরিস জনসনের অনুরোধে টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ রিনে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, যে ব্রিটেনের প্রস্তাবিত সমাধানসূত্র আয়ারল্যান্ডের গুড ফ্রাইডে চুক্তি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য ও অভ্যন্তরীণ বাজারের চলমান কাঠামো নিশ্চিত করতে পারছে না৷ নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে-ও শনিবার জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন৷ তিনি বলেন, ব্রিটিশ প্রস্তাব সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন রয়েছে৷ আগামী ১৭ ও ১৮ই অক্টোবর ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে অনেক কাজ রয়েছে, বলেন রুটে৷

এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে আলোচনার জন্য ব্রাসেলস যাচ্ছেন৷ তাঁর মতে, আইরিশ সীমান্তের বিষয়ে ব্রিটেন ও ইইউ-কে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে৷

এদিকে ব্রিটেনের সংসদে বিরোধী পক্ষও হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ সোমবার থেকে তাঁরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে আরও উদ্যোগ নিতে চান৷ ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি সম্ভব না হলে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে সরকারকে বাধ্য করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর৷ সরকার স্কটল্যান্ডের এক আদালতে সংসদের উদ্যোগে আনা আইন মেনে চলবে বলে জানিয়েছে৷ কিন্তু জনসন নিজে এক টুইট বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে কোনো অবস্থায় ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বিলম্ব হবে না৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য