চীনে বরফ উৎসব
মাইনাস তাপমাত্রায় কাঁপছে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ৷ তবে বরফশীতল এ তাপমাত্রাকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং উপভোগ করছে চীন৷বরাবরের মতো এবারও চীনের হাইলংজিয়াং এ শুরু হয়েছে বরফ উৎসব ‘হারবিন ইন্টারন্যাশনাল আইস অ্যান্ড স্নো ফেস্টিভ্যাল’৷
বরফের কারুকার্য
বরফ কেটে নানা কারুকার্য যেমন পাহাড়সম অট্টালিকা, প্রশস্ত রাজপথ, কাল্পনিক পরীর রাজ্য বানিয়ে প্রতি বছর পালিত হয় এ উৎসব৷ ড্রোন দিয়ে তোলা এ ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে আলো ঝলমলে বরফ উৎসবের একটি অংশ৷
আরেক পৃথিবী
সুরম্য অট্টালিকা, প্রশস্ত রাস্তা কিংবা খোলা মাঠ– কী নেই এ উৎসবে! সবুজের সমারোহে সাজানো রাস্তা দিয়ে উৎসবটিতে প্রবেশের পর মনে হয় যেন আমাদের এ পৃথীবিরই একটি খুদে সংস্করণ৷
লাল-নীল দীপাবলী
হাইলংজিয়াংয়ের নিকটবর্তী সংহুয়া নদী থেকে তুলে আনা বরফখন্ড দিয়ে বানানো হয়েছে রংবেরঙের শিল্পকর্ম৷
পরীর রাজ্য
উৎসবটির অন্যতম আকর্ষণের মধ্যে একটি হলো পরীর মতো ডানা মেলা এই মূর্তি৷ শেষ বিকেলের সূর্যালোকে ডানামেলা এ মূর্তিটিকে দেখলে যে কারো মনে হতে পারে যেন প্রবেশ করেছেন মায়ার রাজ্যে৷
সাঁতার উৎসব
উসবের সময়টিতে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়৷ এমন শীতেও থামে না উৎসব৷ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হলো এই সাঁতার প্রতিযোগিতা৷
অসাধ্য সাধন
শৈল্পিক এ বরফ উৎসবের প্রস্তুতি নিতে কর্তৃপক্ষকে অনেকটা অসাধ্য সাধন করতে হয়৷ এ বছর উৎসবটির নানা কারুকার্য সাজাতে কর্তৃপক্ষকে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার বরফ ও তুষার কাটতে হয়েছে৷
কারুকার্যের সমাহার
উৎসবের বিভিন্ন আকর্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আলোকিত বরফ দুর্গ ও সাড়ে চার হাজার ঘন মিটারেরও বেশি তুষার দিয়ে সাজানো দর্শনীয় বুদ্ধ মূর্তি৷ এছাড়া আছে থ্রিডি লাইট শো, ৩৪০ মিটার দীর্ঘ বরফের স্লাইড ও ২৪ মিটার দীর্ঘ বরফের ট্রেন৷
দেশি-বিদেশি পর্যটক
বরফের কারুকার্য দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় কয়েক লাখ পর্যটক জড়ো হন উৎসবটিতে৷ উৎসবটির প্রবেশ মূল্য ৪৮ মার্কিন ডলার৷
শিল্পীর রং তুলি
প্রায় একশ’ রকমের স্থাপনা রয়েছে এ উৎসবটিতে৷ বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশের শিল্পীরা বসেছেন এসব কারুকার্যকে ফুটিয়ে তুলতে৷
রেকর্ড করা উৎসব
১৯৮৫ সাল থেকে চীনে উদযাপিত হচ্ছে এ উৎসব৷ ৬ লাখ বর্গমিটার জায়গার উপর আয়োজিত এ উৎসব ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে৷ এ বছর চলছে উৎসটির ৩৫তম আয়োজন৷