চীনের হার্বিনে বরফের স্বপ্নলোক
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারির পাঁচ তারিখে চীনের হার্বিনে ২০১৭ সালের তুষার ভাস্কর্য প্রদর্শনী শুরু হয়েছে৷ উত্তরের হাইলংজিয়াং প্রদেশের রাজধানীতে প্রতিবছর দু’হাজারের বেশি সুবিশাল বরফের ভাস্কর্য দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসেন৷
হার্বিনের আইস ফেস্টিভ্যাল
ছবিতে যে বুদ্ধমূর্তি দেখা যাচ্ছে, সেটি ছাড়া সামনের সেতুগুলিও বরফের তৈরি৷
তুষারে গড়া রূপকথার জগৎ
আকাশ থেকে এক আশ্চর্য দৃশ্য৷ রাতে সুবিশাল ভাস্কর্যগুলি রঙিন আলোয় উদ্ভাসিত করা হয়৷ তুষারশিল্পীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম পরিশ্রম করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রখ্যাত ভবন ও ভাস্কর্যের অনুলিপি গড়েন৷
রাজকীয়
বেইজিং-এর টেম্পল অফ দ্য স্কাই বা আকাশমন্দিরে শেষ দুই রাজবংশের নৃপতিরা ভালো ফসলের জন্য প্রার্থনা করতেন - হার্বিনে রয়েছে তার হিমায়িত সংস্করণ৷
সাইবেরিয়ার শৈত্য
বিষুবরেখা থেকে দূরত্বের বিচারে হার্বিন ভেনিসের সঙ্গে সমান উচ্চতায় হলেও, শীতে সাইবেরিয়ার শৈত্য এখানে রাজত্ব করে৷ জানুয়ারি মাসে হার্বিনের গড় তাপমাত্রা হলো মাইনাস ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
নদী থেকে বরফ
তুষার ভাস্কর্যের কাঁচামাল আসে সংহুয়া নদী থেকে, যা হার্বিনের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে৷ নভেম্বর থেকে এপ্রিল অবধি এই নদী এক মিটার গভীরতা অবধি জমে বরফ হয়ে থাকে৷ যান্ত্রিক করাত দিয়ে সেই বরফ কেটে স্লেজে করে প্রদর্শনীর স্থলে পাঠানো হয়৷
সুবিশাল প্রদর্শনী
১৫০টি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা জুড়ে সুবিশাল তুষার ভাস্কর্যগুলি সৃষ্টি করেন প্রায় দশ হাজার শিল্পী৷ আবহাওয়া সদয় থাকলে তাদের শিল্পকর্মগুলি তিন মাস অবধি খোলা আকাশের নীচে অক্ষত থাকবে৷
শূন্য তাপাঙ্কের নীচে প্রেম
শুধু তুষারের ভাস্কর্য কেন, সেই সঙ্গে আছে আইসক্রিম খাবার বার ও রেস্টুরেন্ট৷ জমে যাওয়া নদীর বরফে গর্ত করে মাছ ধরা যায়৷ এ বছর দশ লাখ অবধি দর্শক ও অতিথির আশা করছেন উদ্যোক্তারা৷