1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের উপর আরও শুল্ক

৪ এপ্রিল ২০১৮

চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠছে৷ একের পর এক পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে দুই দেশ৷ ট্রাম্প প্রশাসন সেইসঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থারও দ্বারস্থ হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2vRiG
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Ernst

শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না ট্রাম্প৷ অ্যামেরিকা থেকে আমদানির উপর চীন বাড়তি শুল্ক চাপানোর পর মঙ্গলবারই সে দেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা করলো মার্কিন প্রশাসন৷ এ যাত্রায় তালিকায় প্রায় ৫,০০০ কোটি ডলার মূল্যের ১,৩০০ পণ্য ও পরিষেবা রয়েছে, যেমন শিল্পক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তি, পরিবহণ ও চিকিৎসার পণ্য৷ ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপালে এ সবের আমদানির মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে৷ মেধাসত্ত্ব নিয়ে চীনের আচরণ বদলাতে বাধ্য করতেই ওয়াশিংটন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে শুধু চীন নয়, অ্যামেরিকার শিল্পজগতেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ অ্যামেরিকায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ সব কাচামাল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়৷ অনেক মার্কিন কোম্পানি মেধাসত্ত্ব নিয়ে চীনের আচরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন করলেও তারা চীনা পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর বিরোধী৷ কারণ সেক্ষেত্রে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ ক্রেতাদেরই ক্ষতি হবে৷

বলা বাহুল্য, চীন অ্যামেরিকার এই সর্বশেষ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে অবিলম্বে পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ চীনের মতে, অ্যামেরিকার একতরফা পদক্ষেপগুলির ফলে চীনা ও মার্কিন স্বার্থ এবং সামগ্রিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে৷ পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত না জানালেও বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যামেরিকা থেকে সয়াবিন, বিমান ও যন্ত্রপাতি আমদানির উপর বাড়তি শুল্ক চাপাতে পারে বেইজিং৷

ট্রাম্প প্রশাসন ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতি কার্যকর করতে এতকাল দ্বিপাক্ষিক স্তরেই পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে৷ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডাব্লিউটিও-র বিধিনিয়মের পরোয়া না করেই ওয়াশিংটন একতরফা শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা করে এসেছে৷ এবার চীনকে শায়েস্তা করতে সেই ডাব্লিউটিও-রই দ্বারস্থ হয়েছে অ্যামেরিকা৷ চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন মেধাসত্ত্ব চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ডাব্লিউটিও-র নিয়ম ভেঙে চীন অ্যামেরিকাসহ বিদেশি সংস্থাগুলির মৌলিক পেটেন্ট বা সত্ত্বের অধিকার অস্বীকার করছে৷ ফলে লাইসেন্স চুক্তি শেষ হলে চীনা কোম্পানিগুলি অবাধে সেই সত্ত্ব অমান্য করে৷ তাছাড়া বিদেশি প্রযুক্তি আমদানির ক্ষেত্রেও চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছে অ্যামেরিকা৷

চীনও অ্যামেরিকার একতরফা আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হতে চলেছে৷ সে দেশ মনে করিয়ে দিয়েছে, যে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধ ডাব্লিইউটিও-র মঞ্চেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত৷ ডাব্লিইউটিও-র নিয়ম ভেঙে একতরফা শুল্ক চাপানো কোনো সমাধান হতে পারে না৷

চীন ও অ্যামেরিকার এই বেড়ে চলা সংঘাতের ফলে বিশ্বের পুঁজিবাজারেও অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ ডাব্লিইউটিও-র কাঠামোর বাইরে এমন বাণিজ্য যুদ্ধের পরিণাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)