1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)২৩ মার্চ ২০১৮

আমদানির ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চীনও পালটা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত৷ আপাতত রেহাই পেলো ইইউ৷

https://p.dw.com/p/2upaz
চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Ernst

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঘোষণার পর বাণিজ্য যুদ্ধ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে চীন৷ অ্যামেরিকার ৬,০০০ কোটি ডলার মূল্যের শুল্কের জবাব হিসেবে চীনও সে দেশের বিরুদ্ধে ৩,০০০ কোটি ডলার মূল্যের পালটা পদক্ষেপ প্রস্তুত করেছে৷ শুকরের মাংস, ইস্পাতের পাইপ ও ওয়াইনসহ মোট ১২০টি পণ্য আমদানির উপর এই শুল্ক চাপাতে প্রস্তুত চীন৷ তবে এখনো শেষরক্ষা সম্ভব হতে পারে৷ দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নিতে পারে৷ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত অবশ্য শুক্রবারই কার্যকর হতে চলেছে৷

অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে সত্যি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে তার পরিণাম কী হতে পারে, তার পূর্বাভাষ পাওয়া গেল পুঁজিবাজারে৷ বাজারের আশঙ্কা, একবার এমন যুদ্ধ শুরু হলে তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য, যার ফলে বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত  হতে পারে৷ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে বেইজিং নতি স্বীকার করবে, এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ট্রাম্প এখনো নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবিচল রয়েছেন৷ মার্কিন মেধাসত্ত্ব লঙ্ঘনের দায়ে তিনি চীনকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর৷ চীনের বিরুদ্ধে জোর করে প্রযুক্তি হস্তান্তরের অভিযোগও রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার তিনি এই মর্মে এক নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন৷ তবে এখনই সেই আদেশ কার্যকর হচ্ছে না৷ চীনা পণ্যের তালিকা প্রস্তুত হবার পর ৩০ দিনের আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে৷ ট্রাম্প এখনো চীনকে ‘বন্ধু' হিসেবেই গণ্য করছেন৷ এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে তিনি তাঁর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন করছেন মাত্র৷

বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে বলে চীন আশা প্রকাশ করেছে৷ তবে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চীন মোটেই ভয় পায় না৷ প্রাথমিকভাবে ৩,০০০ কোটি ডলার মূল্যের শুল্কের ঘোষণা করলেও ট্রাম্প অবিচল থাকলে চীন অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে আরও বড় আকারের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবার ইঙ্গিত দিয়েছে৷

শুধু চীন নয়, বিশ্বের বাকি দেশগুলিও ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত আপাতত ক্যানাডা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর কার্যকর হচ্ছে না৷ জাপানের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ তবে সাময়িকভাবে রেহাই পেলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইইউ নেতারাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন৷ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ইইউ নেতারা ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন৷ তাঁর মতে, বাড়তি শুল্ক মোটেই ন্যায্য পদক্ষেপ নয়৷ এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে ইইউ-কেও পালটা পদক্ষেপ নিতে হবে৷ ইইউ বাণিজ্য কমিশনর সম্প্রতি ওয়াশিংটন থেকে ফিরে জানিয়েছেন, সংকট এড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন আলোচনা করতে আগ্রহী৷